অবশেষে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে কংক্রিটের রাস্তা তৈরিতে সম্মত সড়ক অধিদপ্তর। প্রস্তাবিত ১’শ কোটি টাকার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। টেকসই এ পদ্ধতির রাস্তা নির্মানে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সর্ম্পক উন্নয়নসহ এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও দ্রুত এবং নিরাপদ সড়ক যোগাযোগের সম্ভবনা দেখা দেবে।
নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার, জোবা মাটি, পানির স্তর রাস্তার সমান ও মাত্রাতিরিক্ত ওভারলোডিং যান চলাচল করায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ মহাসড়কের কমপক্ষে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ নষ্ট। গেল অর্থ বছরে বিকল্প হিসেবে ২৩৫০ মিটার রাস্তা নির্মানে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দের কাজ চলমান। গেল বর্ষায় নষ্ট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে নাকাল ছিল এ অঞ্চলের মানুষ।
দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চরম সংকটে পড়ায় এবং তীব্র প্রতিবাদের মুখে ৩৩ কিলোমিটারে মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৮ কিলোমিটার চিহিৃত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কংক্রিটের রাস্তা নির্মানের জন্য ওই ৮ কিলোমিটারের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় ঢাকাস্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে।
গেল ১৩ অক্টোবর সভায় প্রধান প্রকৌশলী সরেজমিন সার্ভে করে প্রতিবেদন প্রদানের নিদের্শ দেন। ১৮ অক্টোবর শনিবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রোড ডিজাইন এবং সেফটি সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তানভীর সিদ্দিক খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করেন। পরবর্তীতে তার দেওয়া সার্ভে রিপোর্টের আলোকে ৬ কিলোমিটার রাস্তায় আরসিসি নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগ সড়ক হিসেবে এ মহাসড়কটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুল হক বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে আরসিসি হলে অনেক টেকসই হবে এমন বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। অধিদপ্তর গুটুদিয়া অংশের ২ কিলোমিটার বাদ দিয়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন করেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বৃহৎ এলাকার জনদূর্ভোগ ও অর্থনেতিক ক্ষতির চিত্র বস্তুনিষ্ঠ ভাবে তুলে ধরায় বরাদ্দ পেতে সহজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে রাস্তা নির্মান হলে কমপক্ষে ২০ বছর টেকসই হবে। ফলে এ এলাকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হবে। জীবনযাত্রার মানের হবে আমুল পরিবর্তন।