নওগাঁর পোরশা উপজেলার সারাইগাছী মোড় হতে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন। কয়েকমাস থেকে এ সড়কের বিভিন্ন স্থনে সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কে গাছ ফেলে হচ্ছে ডাকাতি।
সংঘবদ্ধ ডাকাতদল রাস্তা উপর গাছ ফেলে বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কটিতে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ থানা পুলিশ।
রোববার সন্ধা সাড়ে ৭টায় এ সড়কের বেজোড়া মোড় সংলগ্ন যাত্রী ছাউনি এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করেছে ডাকাতদল। এর কিছুক্ষণ পরই একই এলাকার ব্রীজের নিকট গাছ ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে আটকিয়ে ডাকাতি করে ডাকাতদল। আবারও রাত ৯ টায় বেজোড়া মোড় হতে তারেক জিয়া মোড় সংলগ্ন সড়কে গাছ ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করে ডাকাতদল। রাত ১০টায় একই এলাকায় সড়কের পাশের সফিকুল ও রাজিবুলের দুটি বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার পর বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভায়।
এছাড়াও রাত ১১টায় বেজোড়া মোড় দরগা সংলগ্ন সড়কে ডাকাতদল বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করে ডাকাতি করে। এসব ঘটনায় জনসাধারন সঙ্কিত হয়ে পড়েছে। রবিবার পোরশা বড় মাঠে ইসলামী সম্মেলনে আসার সময় বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, এই ডাকাতিকালে প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি ডাকাত দল অংশ গ্রহণ করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার সারাইগাছী হতে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত ১০কিলোমিটার সড়কে প্রায়ই সন্ধা হতে রাত পর্যন্ত ডাকাতি হচ্ছে। অথচ ডাকাতি বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের কোন কার্যকর ভূমিকা নেই।
এ বিষয়ে সাপাহার সার্কেলের এএসপি শ্যামলী বলেন, পুলিশ টহল জোরদার করা হচ্ছে। পোরশায় এবিষয়ে আমরা একটা মিটিং করবো এবং সকল জনগণের সাথে সংযোগ রক্ষা করে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রতি মাসের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ঐ সড়কে ডাকাতির কথা আলোচনা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত এতো ডাকাতির ঘটনায় তিনি নিজেও উদ্বিগ্ন।
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, ঐ এলাকায় থানা পুলিশ টহলে থাকে। এর পরেও কেন ডাকাতি হচ্ছে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। ডাকাতি বন্ধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।