জানা যায়, টেপিরকোনা গ্রামের বিধবা মোছা. রেখা আক্তার প্রায় ৩০ বছর আগে ৯০ দাগে দেড় একর জমির বন্দোবস্ত পান। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খসরু জামান বাবলুর উদ্যোগে ভূমিহীনদের নিয়ে ওই জমিতে বসতি স্থাপন করা হলে গড়ে ওঠে রসুলপুর গ্রাম। দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও গত দুই বছর ধরে একই দাগে একাধিক ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত দেওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি রেখা আক্তারের লোকজন দখলকৃত জমির সামনে পতিত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে গ্রামের বাসিন্দারা বাধা দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী ভূমি কমিশনারকে। পানিতে তলিয়ে থাকায় তদন্ত বিলম্বিত হলেও চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর উপজেলা সার্ভেয়ার শাহিন আলম ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সারোয়ার আলম সরেজমিনে তদন্ত করেন।
ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, “৩০ বছর ধরে বসবাস করছি, এখন হয়রানি করা হচ্ছে।” তবে রেখা আক্তার জানান, “পতিত জমিটি আমার বন্দোবস্তের, তারা জোরপূর্বক বাধা দিচ্ছে।”
স্থায়ী সমাধান না হলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।