বই মানুষের পরম বন্ধু, বই পড়ে মানুষ জ্ঞানী হয়, বই মানুষের জীবনকে আলোকিত করে, মানুষ সঠিক পথের দিশা পায়। বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। বইয়ের চেয়ে সুন্দর উত্তম উপহার জগতে হয় না, জীবনের উন্নতির একমাত্র সোপান পড়া, আর সেই পড়ার মাধ্যম বই। জ্ঞানের আলোয় মানুষকে উজ্জীবিত করতে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত হলো ৫ দিনব্যাপী ইসলামী বইমেলা।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে গত ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে ৬ ডিসেম্বর শনিবার নেত্রকোনা পৌরশহরের মোক্তারপাড়া পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে এই বইমেলার আয়োজন করে নেত্রকোনা ইসলামী বইমেলা বাস্তবায়ন কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিবুজ্জামান, নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, নেত্রকোনা বড় মসজিদের মুতাওয়াল্লী এ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নেত্রকোনা সদর আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, এন আকন্দ কামিল মাদরাসা প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুল বাতেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর মাওলানা নুরুল ইসলাম হাকিমী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আসআদুর রহমান আকন্দ, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার হুসাইন খান, মুফতী খুবাইব কাসেমী, মাওলানা নুরুল আলম সৌরভ, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ তাকী, মাওলানা সদরুল আমীন সাকিব, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ নাঈম, মুফতী জুবাইর চৌধুরী, মাওলানা গোলাম রাব্বী, মাওলানা শরীফ উদ্দিন, মাওলানা আবু সায়েম খান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ফাহিম রহমান খান পাঠান প্রমূখ।
বইমেলার আয়োজক কমিটির সদস্য আনোয়ার হুসাইন খান বলেন, বইমেলায় প্রতিদিনই হাজারও বইপ্রেমী নারী পুরুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে; বই বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে এই কয়েকদিন একটি উৎসবের আমেজ বইছে কালেক্টরেট মাঠে। প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন বইমেলায় এসে বই ক্রয় করেছেন এবং মেলার অনুষ্ঠান স্থলে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন। দিন শেষে বই ক্রেতাদের লটারীর মাধ্যমে বই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই ইসলামিক প্রশ্নের কুইজ বিতরণ করা হয়েছে ও সঠিক উত্তরদাতাদের লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করে বই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এটি ছিল বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ।
মেলায় ঢাকার বাংলাবাজার থেকে ২৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এটি ছিল ২য় বারের মতো আয়োজন। কর্তৃপক্ষ বলেন, আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।