আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বসহ অন্যান্য বহুগুণের জন্য বঙ্গবন্ধু সমসাময়িক বিশ্বনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ইমদাদুল হক।
সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বহিঃবিশ্ব নেতৃবৃন্দ সমীহ করতেন। তিনি যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে নতুন করে সাজানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সহায়তায় তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, ‘নানা দেশ যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান হওয়ায় বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা কঠিন হতে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই তাঁর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। পুরো বিশ্ব যেখানে টালমাটাল সেখানে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
এসময় তিনি উল্লেখ করেন যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি শীঘ্রই ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’-এর কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র’ ও 'Centre for Liberation War' খোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড-কে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকান্ড উল্লেখ করে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সপরিবারের হত্যাকান্ড কোনো আকস্মিক হত্যাকান্ড নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য আরো অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে।”
এছাড়াও আলোচনা সভায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদদীন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান, লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান খন্দকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাদের, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জীবনের বিভিন্ন দিক, আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িকতাসহ নানাবিধ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে কিভাবে দেশে আবারও সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল তা আলোকপাত করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে জড়িতদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
-বাবু/ফাতেমা