জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম.সাদিক তানভীর । এ সময় দর্শক সাড়িতে অনেককেই চোখ মুছতে দেখা যায়।
সোমবার (১৫ আগষ্ট )উপজেলা পরিষদের পায়রা সম্মেলন কক্ষে, জাতির পিতার ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনা দর্শের উপর আলোচনা সভায়। ইউ এন ও সাদিক তানভীরের বক্তব্য দেয়ার সময় এমনই দৃশ্যের অবতারণা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা সভায় পুরো মিলনায়তনে যেন নীরবতা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় সাদিক তানভীর বলেন ৭৫এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে ঘাতকদের বুলেট বিদ্ধ করে শিশু রাসেলকেও। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রাসেল। ওই দিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ তাকে আটক করা হয়।
আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কেঁদে কেঁদে বলেছিল, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। পরবর্তী সময়ে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন ‘আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দিন’। কোমল হৃদয়ের এই শিশুটিকে মা-বাবা-ভাই-ভাবি-চাচা সবার নিথর দেহের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে দোতলায় নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল রাসেলকে। ওই ছোট্ট বুকটা কি তখন ব্যথায় কষ্টে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ-আদরে হেসে খেলে বড় হয়েছে, তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে ওর মনের কী অবস্থা হয়েছিল- কী কষ্টই না ও পেয়েছিল।
যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক অনন্য নেতা; সহজ-সরল, সাদামাটা অথচ দৃঢ়চেতা একজন মানুষ। দেহসৌষ্ঠবে এবং বজ্র কণ্ঠের বিস্ময়কর শক্তির এই মানুষটিকে সহজেই আলাদাভাবে চেনা যেত। বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে তার নাম।
-বাবু/ফাতেমা