নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে মাঠে আছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য খায়রুল কবির খোকন। ক্লিন ইমেজের এই নেতাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তার পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এমনটাই দাবি- সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সাবেক বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল কবির খোকন।
জানা যায়, দীর্ঘ ১৯ বছর পর বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের হৈহৈ রৈরৈ শোনা যাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। উপজেলার রাজনীতিতে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। শহরে পোস্টারিং, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দলীয় নবীণ-প্রবীণ নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে নানান মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন একাধিক নেতা। নেত্রকোনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশেষ আগ্রহ। তবে সভাপতি পদে জনমুখে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ খায়রুল কবির খোকন। তার পক্ষে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা পোস্টারিং, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করছেন। উপজেলার হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানসহ সব জায়গায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন এই ত্যাগী নেতা।
রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এই মেধাবী নেতা। স্বৈরাচার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ও ঢাকার রাজপথে জীবনের তোয়াক্কা না করে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন এই ত্যাগী নেতা খাইরুল কবির খোকন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঢাকার রাজপথে যখন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাবজেলে নেওয়ার সময় তিনি রাজপথে শেখ হাসিনার গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান, এ সময় হাজার হাজার জনতার সাথে তিনিও সেই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে রায় সাহেব বাজার মোড়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী সহ হাজার হাজার জনতা প্রতিবাদ করলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীসহ বিক্ষুব্ধ জনতা আদালত এলাকা বিক্ষোভ করলে পুলিশ তখন জনতার উপরে গুলি ছুড়ে তখন ও তিনি জীবন বাজি রেখে জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যান খায়রুল কবির খোকন, কখনো জীবনের মায়া করেন নাই তিনি শেখ হাসিনার গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনেক অবদান রেখেছেন যার প্রমাণ মিলে অনেক পত্রিকার পাতায় পাতায়।
নেতাকর্মীরা জানান, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতা হিসেবে সুপরিচিত রয়েছে খায়রুল কবির খোকন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পরিবারের ওপর একাধিকবার হামলা ও হয়েছে। কঠিন সময়েও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক ভাবধারার আদর্শের মানুষ হিসেবে অটুক তিনি। জেল-জুলুমকে নিত্যসঙ্গী করে রাজপথে নিজেকে সোচ্চার রেখেছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন, বিশ্বাসী, পরিক্ষিত, নিবেদিত ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে তার। এই নেতাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিলে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এই ত্যাগী ও মেধাবী নেতা খায়রুল কবির খোকন বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে রয়েছেন। তারা চাচ্ছেন- আমাকে যেন সভাপতি হিসেবে দাঁয়িত্ব দেয়া হয়। আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করবো। বিগত সময়ে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দাঁয়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছি। তৃণমূল থেকে দলকে অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন,তৃণমূল নেতাকর্মীই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই তৃণমূলের দুঃখ-দুর্দশার দূর করে দলকে তৃণমূল থেকেই শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ। স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে অগ্রভাগে থেকেছি এবং আগামীতেও থাকবো। এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবো দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
-বাবু/শোভা
দোয়া আর নফল ইবাদতে হোক নববর্ষের সূচনা
পেলের শেষ শয্যা হবে ১৪ তলা ভবনে
দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন সালাহউদ্দিন
নতুন বছরে জঙ্গি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত : ডিজি
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই
ফিফা বিশ্বকাপ এবং আমাদের অর্জন
খাল ভরাট হয়ে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি
রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক লীগের আনন্দ মিছিল
গণভোটই রুশ-ইউক্রেন সংকটের সমাধান
