মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় কুবি ছাত্রলীগ
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:৪৪ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের সংঘর্ষের ঘটনায় কুবি শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নিমিত্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠনের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি শাখা ছাত্রলীগকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ তাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

এই বিষয়ে ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি রিপোর্টের সাথে সমন্বয় করে একসাথে ব্যবস্থা নিবো। তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ দুই দিক থেকেই ব্যবস্থা নিবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত আর আমাদের তদন্ত দুইটা মিলিয়ে ব্যবস্থা নিলে সুবিধা হবে। পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক ব্যবস্থা বলতে তাদের কথিত 'পার্টি অফিসে' নেতাকর্মীদের মারধর করে ঘটনা মিমাংসা করতো। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত আটটার দিকে তাদের কথিত 'পার্টি অফিসে' মারধরের আওয়াজ পাওয়া যায় এবং মারধর করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, গতকাল রাতে দুই হলের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে পার্টি অফিসে, এই ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন বিষয় মিমাংসা করার ক্ষেত্রে এভাবেই মারধরের শিকার হতে হয় নেতাকর্মীদের। এই ব্যাপারে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এটা যদি কেউ বলে থাকে তাহলে সেটা ভিত্তিহীন কথা। ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে তাহলে তাদের মিলিয়ে দেয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দ্বায়িত্ব। এই ঘটনায় অনেকে ভুল করেছে। যারা ভুল করেছে তাদের সতর্ক করেছি। যাদের শাসন করা দরকার তাদের শাসন করেছি।

"শাসন বলতে কি বোঝাচ্ছেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আমার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভালোবাসি। তাদের অন্যায়, ভুল-ত্রুটির জন্য যদি শাসন করে থাকি তাহলে সেটা একান্তই আমাদের সাংগঠনিক ব্যাপার।

একই মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১১ই সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মকছেদুর রহমানকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব করে পাচঁ সদস্য বিশিষ্ট গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন.এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান এবং ত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা হাবিবুর রহমান। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মকছেদুর রহমান  বলেন, আমাদের তদন্ত রিপোর্ট এখনো চলমান। আমাদের যে সময় বেধে দেয়া হয়েছে সেই সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া সম্ভব না তবে আমাদের তদন্ত চলমান আছে।

বাবু/জাহিদ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত