নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময়ে জেলা প্রশাসকের হলরুমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার সময়ে নড়াইল জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ও পরে পুরুষ ওয়ার্ডের শুরু হয়। এ সময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতীক বরাদ্দ শুরু হলে খোকন কুমার সাহা ও ওবায়দুর রহমান দুজনই তালা প্রতীক চান। পরে নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী দুজন একই প্রতীক চাইলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়। পরে লটারির শুরুর আগে খোকন কুমার সাহা একপর্যায়ে ওবায়দুরকে ঘুসি মারেন। এসময় দুজনের মধ্যে
মারামারি শুরু হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসকের হলরুমের পূর্বপাশে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী বসে থাকা অবস্থায় হটাৎ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের সমর্থকরা তাদের মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের হলরুমের চেয়ার ভাংচুর করে। এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতিক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী,সমর্থনকারী সহ আমার পক্ষের লোকজন। জেলার সর্বচ্চ নিরাপত্তাস্থল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে আটজন আহত হয়।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতিক চেয়েছি ওদিকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ও আনারস চেয়েছে। তখন লিটুর লোকজন আমাদের কটাক্ষ করেন। পরে আমার লোকজনের সাথে সামান্য হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রিটার্নিং কর্মকতার্র নির্দেশে কিছু সময়ের জন্য প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ ছিল। পরে সবার সম্মতিতে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে সদস্য প্রার্থী খোকন কুমার সাহা ও ওবায়দুর রহমানকে শোকজ করা হবে। বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা ও হলরুমের চেয়ার ভাংচুরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবু/জাহিদ