সময়ে-অসময়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশিরভাগ আলোচিত হয়। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, আমরা তা স্বীকার করতে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো আব্দুল আহাদ খানের মতো মানবিক পুলিশ অফিসার।
তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাষী পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণ ও দেশের কল্যাণে। পুলিশ জনগণের বন্ধু” এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে দেশের কল্যাণে অপরাধ দমনের করার চেষ্টা করেন। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কর্মে।
অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল আহাদ খান নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, নিষ্ঠাবান ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। কলমাকান্দা থানার অধিকাংশ মানুষই তাকে গরীবের বন্ধু ভাবে। তিনি তার সততা, ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা, এবং মেধা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদকনির্মূল, সন্ত্রাসদমন, চাঁদাবাজীমুক্ত, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে এলাকায় কঠোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছেন। তার চোখে ধনী-গরীব, জেলে, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণীপেশার মানুষ সমান।
তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন। তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। "মামলা নয়, আপোষ হলে ভালো হয়"-এই স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর থানায় অধিকাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপোষের মাধ্যমে সমাধান করে দেন। ফলে তিনি কলমাকান্দা থানায় যোগদানের পর থেকে বিগত সময়ের তুলনায় থানায় মামলা বহুলাংশে কমে গেছে। তিনি ২০২১ সালের ৯ জুন কলমাকান্দা থানায় অফিসার ইনচার্জ ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল আহাদ খান এর মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করবে বলে কলমাকান্দা থানাবাসী মনে করে।
তার ছুটে চলা সর্বত্র। কখনও তিনি লাঠি হাতে সড়কে, কখনো অসহায় এতিম শিশুদের পাশে, কখনও হিজরা সম্প্রদায় ও বেদে সম্প্রদায় পাশে থেকে নিজের সামর্থ্য মত সাহায্য করা। এসবের একটাই লক্ষ্য-মানুষের সেবা ও আস্থা অর্জন। কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ ছিলেন। তখন আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গিয়েছিলো। প্রিয়জনও দুরে সরে গিয়েছিলো। সে সময় মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অন্যের সাহায্যে ছুটে গিয়েছিলেন ওসি আব্দুল আহাদ খান। পথচারীদের মাঝে মাক্স বিতরণ, অটোরিকশাচালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসহায়দের মাঝে খাদ্য বিতরণ, রাতের আধারে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ, ,কনকনে শীতে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণসহ নানা বিধ কর্মে ব্যস্ত থাকেন তিনি সবসময়ই। একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন। একইভাবে তিনি তাঁর অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।
শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সাধারণ মানুষও। থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি-ডাকাতি কমে যাওয়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে। অন্যদিকে কলমাকান্দা থানায় যোগদান করার পর ব্যতিক্রম বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কলমাকান্দা থানা এলাকায় গেলে এখন সেই এলাকাকে মনে হয় একটি ফুলের রাজ্য। তিনি বিভিন্ন সময় বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেন। কলমাকান্দা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কলমাকান্দা থানাবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক ওসি আব্দুল আহাদ খান স্যার।
কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল আহাদ খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি কলমাকান্দা উপজেলাবাসীর জন্য কাজ করব। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন নেত্রকোণা জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ স্যার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় কলমাকান্দা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধী কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুণ, আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।
বাবু/জাহিদ