এই দেশে ভোট চুরির প্রক্রিয়া আর চলবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভোট চোরদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। দেশের ভিতর ও দেশের বাইরে থেকে তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ভোট চোরেরা এবার পালাতে পারবে না।
ভোট চোরদের তালিকা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা ভোট চোরদের সাথে জড়িত থাকবে, সেটা পুলিশের কিছু সংখ্যক লোক আছে, আওয়ামী সন্ত্রসী আছে, সরকারি কর্মকর্তা আছে তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। এবার আর ভোট চুরি করার কোন সুযোগ নেই। যে সংগ্রাম বাংলাদেশের মানুষ দেখছে সেই সংগ্রাম আত্মত্যাগের বিনিময়ে অবশ্যই জয়ি হবে। বাংলাদেশের মানুষ দুই বেলা খেতে পারে না, বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা আজ অন্ধকারে জীবনযাপন করছে। ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। সেখানে তারা (ক্ষমতাসীনরা) লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সেখানে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ভোট চুরির মেশিন ইভিএম কিনছে। তিনি প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের মানুষ এসব মেনে নিবে? ভোট চুরি করতে দিবে?
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও একেএম মোশাররফ হোসেন স্মরণসভা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেস আলী মামুন, শরিফুল আলম, ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, প্রয়াত একেএম মোশাররফ হোসেন একজন দেশ প্রেমিক ভাল মানুষ ছিলেন। তার মত নেতার এখন বড় প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, তার প্রিয়দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আজকে মুক্তির সংগ্রামে নেমেছে। এ দলটি বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে নেমেছে। এদলটি বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে করছে। মানবাধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার আন্দোলনে নেমেছে। গণমাধ্যমে স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে নেমেছে। বাংলাদেশের মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের আন্দোলনে নেমেছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তার আন্দোলনে নেমেছে। এ আন্দোলন আজকে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বাদ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো আজকে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আজকে ৪/৫ দিন যাবৎ খুলনার জনসংখ্যার ওপর যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা জাতি এবং বিশ্ব পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে বলেন, খুলনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আজকেও মহড়া দিয়েছে।
আমাদের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়েছে। কিন্তু জনগণের বাদ ভেঙ্গে গিয়েছে। এই খড় রাতে নদীকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এ মানুষগুলো রাস্তায় আত্মত্যাগের জন্য নেমেছে, জীবন দেওয়ার জন্য নেমেছে, মৃত্যুবরণ করার জন্য নেমেছে। সব ত্যাগ সরকারকে হটানো জন্য। সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের স্মরণসভা নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহণে জনসভায় রূপ নেয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই দলে দলে স্মরণ সভায় যোগদান করেন।
বাবু/জেএম