শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ৭ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ২১ জুন ২০২৫
ধ্বংস করা হলো ৩৭ কোটি টাকার বিদেশি মদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৭:১১ PM আপডেট: ২৬.১০.২০২২ ৭:১২ PM
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ ধ্বংস করেছে র‌্যাব। ধ্বংসকৃত মদের মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা বলে জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা। এটি র‌্যাবের ইতিহাসে আটক করা সর্ববৃহৎ মদের চালান, যা চট্টগাম বন্দর হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও ক্লাবের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছিল।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে র‌্যাব-১১ এর আদমজীনগর কার্যালয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্ধারকৃত ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল মদ ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌসের উপস্থিতিতে রোড রোলারের সহায়তায় জব্দকৃত মদ ধ্বংস করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এসব মদের ক্রেতা ঢাকার কিছু হোটেল, বার ও ক্লাব। গার্মেন্টস পণ্যের মিথ্যা ঘোষণায় এই মদ আমদানির পেছনে রয়েছে মুন্সীগঞ্জকেন্দ্রিক একটি চক্র, যাদের নেটওয়ার্ক দুবাই পর্যন্ত বিস্তৃত। চলতি বছরেই তারা আরও তিনটি চালানে মিথ্যা ঘোষণায় প্রায় ৪৮ হাজার বোতল বিদেশি মদ এনেছে। ধ্বংসকৃত মদের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ভ্যাটসহ এর দাম পড়ে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। র‌্যাবের ইতিহাসে ওই বিদেশি মদের চালান উদ্ধারের বৃহত্তম ঘটনা।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, গত ২৩ জুলাই বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ চট্টগ্রাম নৌবন্দর হয়ে অবৈধভাবে আসা দুটি কন্টেইনারে রাজধানী ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে। পথে সোনারগাঁ টোল প্লাজায় র‌্যাব-১১ এর একটি দল অবৈধভাবে আনা দুই কন্টেইনার মদ আটক করে। ওই ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম ও তার দুই ছেলেসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়। মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার হলে পরবর্তীতে একজন জামিনে বের হন। 

এই চক্রের মূলহোতা দুবাইয়ে বসবাসরত নাসির উদ্দিনকে আইনের আওতায় আনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্যানিং ছাড়াই কীভাবে দুই কন্টেইনার মদ বেড়িয়ে এলো সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি বন্দর কর্তৃপক্ষের কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ র‌্যাব ফোর্সেস মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক কারবারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলবো মাদক ব্যবসায়ী ও বাহক কাউকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যারা মাদকসেবী ও মাদক বহন করে শুধু তাদের বিরুদ্ধে নয়, যারা মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধেও আমার কঠোর অবস্থান থাকবে।

বান্দরবানের জঙ্গি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, অনেক তরুণ বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে বলে র‌্যাব ইনটেলিজেন্সের কাছে খবর ছিল। এরই প্রেক্ষিতে বান্দরবনের রামুতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই সংগঠনের বেশ কয়েকজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের পর সেখানে জঙ্গিরা এখন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নেওয়া বাকিদের ওপর আমাদের নজরদারি রয়েছে। এছাড়াও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার তাগিদ দেন তিনি।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত