রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা সক্ষম বিএনপি
আনোয়ার বারী পিন্টু
প্রকাশ: বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৩ PM আপডেট: ০৯.১১.২০২২ ৮:২৭ PM
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, সম্প্রতি সময়ের মতো তখনো সারাদেশে সিরিজ কর্মসূচী চালিয়ে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে তোলে বিএনপি। তখন দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবীতে রাজপথে সভা সমাবেশ চালিয়ে ভোটের ঠিক আগ মুহুর্তে আচমকা আন্দোলনের রেশ রেখেই তড়িঘড়ি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। ফলে এবারো বড় বড় সমাবেশ করে নতুন কোন ফলাফল বয়ে আনতে পারবে কি না, অথবা সামনের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চূড়ান্ত পর্যায়ে মাঠে থেকে দাবী আদায় করতে স্বক্ষম হবে কি না সেই প্রশ্ন থেকে যায়। 

বিশ্লেষকদের মতে, ‘বিএনপির সামনে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা এবং সে অনুযায়ী কতটা কৌশল নিতে পারে তার উপর আন্দোলনের সফলতা নির্ভর করছে। নির্বাচনের প্রায় এক বছরের মতো সময় এখনো বাকী আছে তাই বড় বড় সমাবেশ করতে পারলেও সামনের দিনগুলোতে বা নির্বাচন মুহুর্তে রাজপথে বা কৌশলে কতটা পারঙ্গম তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।’তবে বিএনপি নেতারা চূড়ান্তভাবেই বলছেন, ‘আমরা নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোন নির্বাচনে যাবো না এবং দেশে দলীয় সরকারে অধিনে আগের মতো কোন নির্বাচন হতে দিবো না।’ বিএনপি নেতারা দৃড়তা ব্যক্ত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে দীর্ঘ সংগ্রাম করে বিএনপি কর্মীরা পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। তাই আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বিএনপি কর্মীরা এখন আত্নবিশ্বাসী এবং তারা রাজপথ আকঁড়ে ধরে থাকতে জানে। তাছাড়া বিগত ১৩ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি আন্দোলন করেছে দীর্ঘ এই সময়ের ভুল ত্রুটি থেকে দলের নেতারা কৌশলী পথ নির্ণয় ও চুলচেরা বিশ্লেষনের মাধ্যমে আগামী দিনের পথপরিকল্পনা তৈরী করছেন।’

তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি যুগ্নমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন,‘দেশে ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হবে বলে সরকার থেকে বলা হচ্ছে। দুর্ভিক্ষের কথা বলে সরকার নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছে তারা ব্যর্থ। এই ব্যর্থ সরকারকে পদত্যাগ করতে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি কর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছে। দলীয় সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না এবং সব সংকট মোকাবেলা করে দাবী আদায় করা হবে। ’বিএনপির রাজনীতির উপর নজর রাখেন এমন কয়েকজন বিশ্লেষকদের মতে, ‘আন্দোলনে সফলতা আনতে হলে আগের মতোই বিএনপিকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। গতবারও কর্মীদের চাঙাভাব লক্ষ্য করা গেলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে শীর্ষ নেতারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তাছাড়া দলটির জন্য সবেচেয়ে হতাশাজনক বিষয় ছিলো দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দলে হয়েও তখন সদ্য গঠিত ঐক্যফ্রন্টের কাছে নিজেদের অসহায় সমর্পণ করার দৃশ্য। তাই এখন বড় বড় সমাবেশ করতে পারলেও নেতাদের স্বক্ষমতা নিয়ে সংশয়টা বড় দাগে থেকে যায়। দলটির তৃণমূল কর্মীদের মুখেও একই সুর লক্ষ্য করা যায়। গত ৩ অক্টোবর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কয়েকটি বিভাগের জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি হাইকমান্ড। 

বৈঠকে তৃণমূলের নেতারা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাও আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু বিশ্বাসঘাতকের প্ররোচনায় বিএনপির হাইকমান্ড আন্দোলন থামিয়ে দেন। ২০১৮ সালেও নির্বাচনেও দলের মধ্যে কিছু লোভী ছিল। যারা ক্ষমতাসীন দলকে বিশ্বাস করে শুধু নিজেদের আসন নিশ্চিত করে পুরো দলকে নির্বাচনে নিয়েছিল। নির্বাচনে তারা নিজেরা ডুবেছে, দলকেও ডুবিয়েছে। কেন্দ্রীয় কিছু নেতা লোভে পড়ে বিগত দিনে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ভুল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছেন। কিন্তু এবার যদি একইরকমভাবে কেউ ভুল করার সাহস দেখান তাহলে তাকে অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’ বিএনপির রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন খান মোহন বলেন, ‘সংকট তো আছেই তার মধ্যে বিএনপি ঢাকাসহ সারা দেশে বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে টানা গণমাধ্যমের একটা বড় জায়গা দখলে নিয়েছে বিএনপি। ফলে সারা দেশের সাধারণ মানুষ, এমনকি বিদেশি কূটনীতিকদের কৌতূহলী করে তুলেছে তারা।’বিশ্লেষকরা মনে করেন, ‘সরকারের কৌশলের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া, তৃণমূল কর্মীদের আত্নবিশ্বাস ধরে রাখা, যুগপৎ আন্দোলনে শরীকদের কাছে টানা, অহিংস অবস্থানে ধরে রাখা, জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পর্ক স্পষ্ট করণ, হামলা, মামলা মোকাবেলা ও আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ় করা। 

সরকারের কৌশল মোকবেলা: 

টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সরকারের সাথে কৌশলগত নানা দিক থেকে অতিত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় কিছুটা পিছিয়ে আছে বিএনপি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন ও রাজপথে অবস্থান ধরে রাখতে কেবল শক্তির উপর নির্ভর করলে হয় না। এক্ষেত্রে নানা স্তরে পেশাজীবি ও বিভিন্ন পর্যায়ের সূতোর মতো জাল বিস্তার করতে হয়। মাঠে টিকে থাকতে হলে বিভিন্ন শ্রেণী এবং পেশার মানুষকে নিয়েও পরিকল্পনা আটঁতে হয় কিন্তু দেখা যায় বিএনপি তা করতে অতিত সময়ে ব্যর্থ হয়েছে। নেতাদের ক্ষমতা খর্ব করতে না চাওয়া, অন্য কোন অনিহা থেকেই তারা দলের বাইরে নানা পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারছে না। ফলে দলীয় কর্মীদের উপর ভর করা আন্দোলনে বাধা গুলো খুব সহজে টপকাতে পারছে না।  এ বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, ‘দলের বাইরেও নানা পেশার মানুষকে এবারে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা তৈরী করা হয়েছে। সামগ্রীক দিক থেকে সফলতা অর্জন করতে যতটা প্ল্যান নেয়া প্রয়োজন তাই নেয়া হচ্ছে।’  

কর্মীদের আত্নবিশ্বাস ধরে রাখা: 

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীতে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’ নামে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচী ঘিরে সারদেশে কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরী হয় কিন্তু দেখা যায় সেই কমূসূচীতে খোদ বড় নেতারাই নামেননি। ফলে কর্মীরা একাই চপের মধ্যে পড়ে আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং রাজপথ থেকে নিজেদের ঘুটিয়ে নিতে বাধ্য হতে হয়। বিশ্লেষকদের মতে, ‘অতিত অবস্থান থেকে বলা যায় বিএনপির আন্দোলন হঠাৎ উর্মিমুখর হয়ে আবার চুপসে যেতেও সময় লাগে না। এর পেছনের কারণই হলো নেতাদের সঠিক পরিকল্পনা বা অবস্থানের কারণেই কর্মীরা ক’দিন পরই দেখা যায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অর্থ্যাৎ আত্নবিশ্বাসে যখন চিড় ধরে যায় তখনই তারা নিজেদের গুটিয়ে নেয়।’ এ বিষয়ে বিএনপি চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ গুলোতে সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছে। এবার দলীয় কর্মীরাই শুধু নয় সাধারণ মানুষেরও স্রোত নেমেছে। সাধারণ মানুষের আন্দোলন কখনোই ব্যর্থ হতে পারে না। আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। ’ 

শরীকদের সাথে ঐক্য: 

সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া কতটা এগিয়ে নিতে পেরেছে বিএনপি তা এখনো পরিষ্কার নয়। ডান ও বাম ঘরোনার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে দফায় দফায় বৈঠকের পর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিয়ে কোন পক্ষই এখনো কোন কিছু খোলাসা করেনি। একটি সূত্র জানায়, বিএনপির সাথে আগে থেকেই ঐক্যে থাকা ২০ দলীয় জোট নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আবার জামায়াতে ইসলামীর সাথে তখন সম্পর্কের ধরন কেমন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নতুন জোট গড়া আগ্রহী দলগুলো বিষয়গুলো আগেই সুরহা চায়। এছাড়া বিদেশী দূতাবাসগুলো জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপির রাজনীতিকে ভালো চোখে দেখছেন না। স্বাধীনতা বিরোধী দল হওয়ায় প্রগতিশীল তরুন প্রজন্মও জামায়াতকে পছন্দ করছেন না। ফলে দেশে বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিএনপিকে। খুব দেরীতে হলেও দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি অনুধাবণ করেছে। ফলে জামায়াতের ভোটের হিসেব কষে অন্যান্য দলগুলোকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা এবং পরবর্তি যুগপৎ আন্দোলনে নামা বিএনপির জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

অহিংস অবস্থান: 

বিগত দিনে সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতার অভিযোগ তোলা হয়। বিশেষ করে ‘অগ্নি সস্ত্রাস’ এর অভিযোগ তোলার পর বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজে ব্যাপক আলোচিত হয়। এ অবস্থায় নির্বাচন ঘনিয়ে এলে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে গুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেশের সম্পাদ ও সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি হোক তা কেউই কামনা করে না। ফলে যে কোন ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি বা এড়িয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে টিকে থাকা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। কারণ সহিংসতা ঘটলেই সব আন্দোলনই একসময় স্থিমিত হয়ে যায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তোলা সব ধরনের সহিংসতার অভিযোগ বরাবরই অস্বিকার করে আসছে বিএনপি।  দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতে, ‘আওয়ামলীগ পরিকল্পিতভাবেই বিএনপিকে সহিংসতার তকমা লাগিয়ে ঘায়েল করতে চায়। জনগণ জেগে উঠেছে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রেই কাজ হবে না এবং কোন ধরনের সহিংসতায় বিএনপি বিশ্বাস করে না। লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, গুম-খুন, পুলিশ হেফাজতে হত্যা, পঙ্গু করে দেওয়ার রেকর্ড বিএনপির নেই। এটা আছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগের। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের ব্যবহার ও তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাস ঘটায়। কারা এসবে জড়িত, সব তথ্য প্রমাণ রেকর্ড আছে।’

হামলা ও মামলা ও আর্থিক অবস্থা : 

বিএনপির হিসেব মতে, সারাদেশে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ মামলায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। আগামী দিনে তা আরো বাড়তে পারে ফলে বিষয়টি দলটির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া বিএনপির সর্বশেষ আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে দেখা যায়, দলটির আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলের পৃষ্ঠপোষক এবং বড় ব্যবসায়ীরা নানা আতঙ্কে আগের মতো আর্থিক সহযোগিতা করছে না। ফলে দলের নানাবিধ ব্যয় সামলাতে এক ধরনের হিমশিম অবস্থা। আগামী দিনে আন্দোলনে আর্থিক সংকটি বিষয়টি বড় কারণ হয়ে উঠবে। এসময় দলের সামগ্রীক ব্যয় আরো বেড়ে ডেতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সারদেশে কর্মীদের সহযোগিতা এবংকি সভা সমাবেশগুলোতে যে ব্যয় হবে তার সমাধান করাও দলটির জন্য এই মুহুর্তে  আরেকটি চ্যালেঞ্জ।  

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অতিতের যেকোন সময়ের চেয়ে বিএনপি কর্মীরা এখন আরো আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। দেশের জনগণ চলমান দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি চায়। বিএনপির গণসমাবেশগুলোতে জনতার উপস্থিতি সেটারই প্রমাণ বহন করে। বিএনপি সহিংস পথে নয়, শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন ঘটাতে চায়। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চায়। সবসংকট জেনেই তারা কর্মসূচী সফলে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই দাবী আদায় করতে বদ্ধপরিকর। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে লড়াই শুরু করছি সেই লড়াইকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবো।’

বাবু/জেএম

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত