‘আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ায় বেশ খারাপ লাগছে। তবে হারলেও আর্জেন্টিনা আর জিতলেও আর্জেন্টিনা। তাছাড়া এটাইতো আর শেষ ম্যাচ নয়। সমানের ম্যাচে আমরা আশাবাদী। এবার প্রত্যাশা পূরণ না হলেও আমরা হতাশ নই।’
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের খেলায় এশিয়ার দল সৌদি আরব কাছে হারের পর এভাবেই বলছিলেন আর্জেন্টাইন সমর্থক সজীব জয়। তিনি বললেন, আজকে আর ফেসবুকে যাওয়া যাবে না। ব্রাজিলের খেলার আগ পর্যন্ত অনেক ট্রল সহ্য করতে হবে। তবে হতাশার কিছু নেই। সামনের খেলায় জয় আমাদের হবেই।
অপরদিকে আর্জেন্টিনার হারে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল সমর্থকদের মাঝে। সরেজমিনে রাজধানীর ঢাকা কলেজের বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, ডাইনিং রুম ও টিভি রুমে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। কেউ এসেছেন পছন্দের দল আর্জেন্টিনার জার্সি পড়ে। কেউ এসেছেন ব্রাজিল অথবা অন্যান্য দলের হয়ে। খেলার শুরুতে আর্জেন্টিনার গোলে সমর্থকদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাস থাকলেও পরে সৌদি আরবের পাল্টা গোলে দুশ্চিন্তার ছাপ ফুটে উঠে। তবে হতাশ না হয়ে শেষ পর্যন্ত ‘এই বুঝি জ্বলে উঠলেন মেসি’ এমন জাদুর অপেক্ষায় আশা নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় তাদের। তবে সেই আশায় গুড়েবালি দিয়েছে সৌদি আরব। বিরতির পর সৌদি আরবের হয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সৌদি ফরোয়ার্ড সালেহ আলসেহরি।
ওই গোলই যেন ভড়কে দিল আর্জেন্টিনাকে। সেই গোলের ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ৫৩ মিনিটেই আবার গোল খেয়ে বসে দলটি। স্ট্রাইকার সালেম আল দাওসারির দারুণ এক গোলে সৌদি আরব এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। শহীদ উল্লাহ নামের এক ব্রাজিল সমর্থক বলেন, আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যে অহংকার নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিল তা মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে অনেকগুলো অফসাইড দেখতে পেলাম। না জানি আগেই এরকম কত অফসাইড গোল বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ায় আমাদের অনেক আনন্দ লাগছে।
বাবু/এসআর