বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১০ মাঘ ১৪৩১
বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
বেদনাবিধুর শোকাবহ স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
রফিকুল ইসলাম রতন
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৫৬ PM আপডেট: ১৪.১২.২০২২ ৪:৪৫ PM
ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে উৎকীর্ণ বেদনাবিধুর শোকাবহ দিন ১৪ ডিসেম্বর। এ দিনটিতে বাঙালি জাতি তাদের মেধা ও মননের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছে। আমরা হারিয়েছি জাতির পথপ্রদর্শক শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক, আইনজীবী ও প্রকৌশলীসহ অসংখ্য কৃতী সন্তানকে। সেই স্বজন হারানো বিয়োগ-ব্যথা বুকে ধারণ করে দুঃসহ কষ্ট নিয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলার লাল-সবুজের পতাকার মাঝে আজও তাদের খুঁজে বেড়ান। ওইসব ঘাতক দালালদের বিচারের দাবিতে এত দিন সমগ্র জাতির সঙ্গে তারা সরব বা নীরব দাবি জানালেও বিগত তিন দশক তা ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে উপেক্ষিত। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং পাকিস্তানি ভাবধারার বিগত দিনের তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার-ঘাতক-দালালদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা সরকারগুলো যা করেনি, সেই দুরূহ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার চার দশক পরে হলেও শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচারিক আদালতের রায়ে ওইসব স্বাধীনতাবিরোধী খুনি, জাতির শত্রু, পাকিস্তানের দালাল নরপিশাচদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বুকের চাপা কষ্ট কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বাঙালি জাতি।   

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বিজয়ের ঠিক ঊষালগ্নে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসদের সহায়তায় বেছে বেছে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনার সঙ্গেই মূলত বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সেই পৈশাচিক কালরাত থেকে পাকিস্তান বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, তার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যা-বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। অপারেশন চলাকালীন সময়েই তারা রাতের আঁধারে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে অত্যন্ত নির্মম-নিষ্ঠুর ও বিভৎসভাবে হত্যা করে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধতো বটেই, সমকালীন বিশ্বের ইতিহাসে তথাকথিত যুদ্ধের নামে এত সংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যার কোনো নজির কোথাও নেই। যখন হানাদার বাহিনী সুষ্পষ্টভাবে বুঝতে পারছিল যে পরাজয় কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন তাদের নীল নকশা অনুযায়ী প্রতিহিংসা চরিতার্থ এবং বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নরপিশাচরা এই জঘন্য এবং হ্রদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড চালায়। টার্গেট করে শুধু ১৪ ডিসেম্বরেই নয়, যুদ্ধকালীন ৯ মাস এমনকি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পরও ঘটেছে নির্মম ঘটনা। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের প্রায় দেড় মাস পরও বিহারিদের সহযোগিতায় রাজাকার, আল-বদররা স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ’৭২-এর ৩০ জানুয়ারি। ওইসব ঘাতক, রাজাকার ও আল-বদরদের বংশধররা আজও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সরকারের বিরুদ্ধে- এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজ পতাকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিছকই কেবল হত্যাকাণ্ড নয়। এটি ছিল সুপরিকল্পিত গভীর ষড়যন্ত্র ও নীল নকশার একটি অংশ। উইকিলিকসের ফাঁস করা ওই সময়কার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গোপন দলিল, মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র ও গবেষণা, বাংলাপিডিয়া, ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির অনুসন্ধান এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, তাতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, পাক-বাহিনীর যুদ্ধ পরিকল্পনার অন্যতম নীল নকশা ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যা। পাক প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও কসাই নামে খ্যাত পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর মে. জেনারেল টিক্কা খানের পরামর্শে তাদেরই খুব ঘনিষ্ঠ মে. জেনারেল রাও ফরমান আলী ছিলেন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীল নকশার মূল প্রণয়নকারী। আর তাকে এ কাজে সহযোগিতা করে জামায়াতে ইসলামী নেতা কুখ্যাত গোলাম আযম ও তাদের ছাত্রফ্রন্ট ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা আল-বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মওলানা আবদুল মান্নান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, চৌধুরী মঈনুদ্দীন, আশরাফুজ্জামান গংরা। এসব কুখ্যাত রাজাকার ও আল-বদর নেতা (পলাতক চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান) ছাড়া যাদের ইতোমধ্যেই মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ফাঁসি হয়েছে, তারা শুধু বুদ্ধিজীবী হত্যার তালিকাই তৈরি করে দেয়নি, এরা নিজ হাতেও হত্যা করেছে অসংখ্য সাধারণ নিরীহ মানুষ ও বুদ্ধিজীবীদের।

স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বঙ্গভবন থেকে (যেটি ছিল বাঙালি হত্যার নীল নকশার কাসিম বাজার কুঠি) উদ্ধার করা রাও ফরমান আলীর একটি ডায়েরিতে অনেক নিহত ও জীবিত বুদ্ধিজীবীর নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়। তাছাড়া আইয়ুব শাসনামলের তথ্য সচিব আলতাফ গওহরের এক সাক্ষাৎকার থেকেও ফরমান আলীর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার কথা জানা যায়। রাও ফরমান আলীর ওই ডায়েরিতে বুদ্ধিজীবী হত্যার তালিকার সঙ্গে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর মি. হেইট ও সিআইএ’র সদস্য মি. ডুসপিকের নামও পাওয়া যায়। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, পাক-বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার সঙ্গে হয়তো তৎকালীন সিআইএ’রও একটি ভূমিকা ছিল। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বরের পরে আল-বদর বাহিনীর অপারেশন ইন চার্জ চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও প্রধান জল্লাদ আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়া বাসা থেকে তাদের ব্যক্তিগত যে ডায়েরি উদ্ধার করা হয়, তাতেও ২০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম-ঠিকানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোয়ার্টারের নাম-নম্বরও লেখা ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় আশরাফুজ্জামানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক মফিজুদ্দিন বলেন যে, ‘তার মালিক আশরাফুজ্জামান ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অনেক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে রায়ের বাজার ও মিরপুরের শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমিতে ফেলে দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ দুটি বধ্যভূমিতে আশরাফুজ্জামানের হত্যা করা লাশ তিনি দেখতে পান বলেও ট্রাইব্যুনালকে জানান গাড়িচালক মফিজুদ্দিন।’

তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে, ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে ঢাকায় কারফিউ দিয়েই মূলত পাক-হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়। ১০ ডিসেম্বর রাও ফরমান আলীর সঙ্গে জামায়াতের অপারেশন ইন চার্জ চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও প্রধান জল্লাদ আশরাফুজ্জামানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কাকে কোন জায়গা থেকে কখন ধরে এনে কোথায় হত্যা করা হবে এসবই তারা চূড়ান্ত করে ওই বৈঠকে। এ হত্যাকাণ্ড শুধু ঢাকাতেই তারা সীমাবদ্ধ রাখেনি, ঢাকার বাইরে দেশের বহু এলাকাতেও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাক-বাহিনী ও তাদের চিহ্নিত দোসররা চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, খুলনা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষাবিদ, কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, চিকিৎসক, সমাজসেবক ও দানবীর, প্রকৌশলী ও আইনজীবীদের বেছে বেছে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ বধ্যভূমিতে ফেলে দিয়েছে। হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে-২১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩৪ জন, খুলনা বিভাগে ২৮৬ জন ও রাজশাহী বিভাগে ২৭৭ জনসহ সারাদেশে ১ হাজার ৩০ জন বুদ্ধিজীবীকে ওরা হত্যা করেছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ৯৬৮, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ২১ এবং আইনজীবী ৪১ জন। তাছাড়া ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় যে কয়েকজন স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবীকে ওই হানাদার বাহিনী হত্যা করেছে তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ২৩, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ২১ ও সাংবাদিক ১৪ জনের সঠিক নাম পরিচয় পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষকদের মধ্যে যারা ছিলেন পরম পূজনীয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অধ্যাপক ড. মুনির চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য), অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব (দর্শণশাস্ত্র), অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য), অধ্যাপক ড. আনোয়ার পাশা (বাংলা সাহিত্য), অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি সাহিত্য), অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের (ইতিহাস), অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক খান (শিক্ষা), অধ্যাপক ড. এএনএম ফাইজুল মাহী (শিক্ষা), ড. রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য), ড. হুমায়ুন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য), সাজিদুল হাসান (পদার্থ বিদ্যা), ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), এনএম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান), এ মুকতাদির (ভূ-বিদ্যা), শরাফত আলী (গণিত), এআরকে খাদেম (পদার্থবিদ্যা), অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিদ্যা), এমএ সাদেক (শিক্ষা), এম সাদত আলী (শিক্ষা), সন্তোষ ভট্টাচার্য (ইতিহাস), গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস), রাশীদুল হাসান (ইংরেজি), ড. আবুল কালাম আজাদ (গণিতজ্ঞ) ও এম মর্তুজা (চিকিৎসক)। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন তারা হচ্ছেন- শহীদুল্লাহ কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমেদ, সিরাজুদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, খন্দকার আবু তালেব, এমএ মান্নান, সৈয়দ নাজমূল হক, আবুল বাশার, শিব সাধন চক্রবর্তী, চিশতী শাহ হেলালুর রহমান, মুহাম্মদ আখতার ও এ কে এম শহীদুল্লাহ। এছাড়া গীতিকার ও সুরকার আলতাফ মাহমুদ, লেখক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, ভাষা সৈনিক ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, দানবীর ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রণদা প্রদাস সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নূতন চন্দ্র সিংহ, শিক্ষাবিদ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ ও কবি মেহেরুন্নেসাকে ওরা ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।       

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে যাদের হত্যা করা হয় তারা হচ্ছেন-অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি (হ্রদরোগ), অধ্যাপক ডা. আলীম চৌধুরী (চক্ষু), অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আবুল আলিম চৌধুরী, ডা. হুমায়ুন কবীর, ডা. আজহারুল হক, ডা. সোলায়মান খান, ডা. আয়েশা বদেরা চৌধুরী, ডা. কসির উদ্দিন তালুকদার, ডা. মনসুর আলী, ডা. মোহাম্মদ মর্তুজা, ডা. মফিজ উদ্দিন খান, ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. নুরুল ইমাম, ডা. এসকে লালা, ডা. হেমচন্দ্র বসাক, ডা. ওবায়দুল হক, ডা. আসাদুল হক, ডা. রোসাব্বের আহমেদ, ডা. আজহারুল হক ও ডা. মোহাম্মদ শফি। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসদের হাতে নিহত দেশের বুদ্ধিজীবী এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর ও বধ্যভূমি খুঁজে বের করার জন্য ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে গবেষণা ও অনুসন্ধান শুরু করে। ইতোমধ্যেই তারা ৯৪২টি বধ্যভূমি শনাক্ত করতে পেরেছে। এসব বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ এবং তাতে স্মৃতি ফলক স্থাপনের জন্য উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সঙ্গত কারণেই আমরা আশা করব জাতির এসব কৃতী সন্তানদের স্মৃতি সংরক্ষণ করে তাদের বিশাল ঋণের বোঝার কিছুটা হলেও যেন আমরা শোধ করতে পারি। সব শহীদের পুণ্য আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

লেখক : ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বাংলাদেশ বুলেটিন

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত