দীর্ঘ ৪ বছরেও কমিটি না হওয়ায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগ। ঝিমিয়ে পড়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম। দায়সারা ভাবে উদযাপন করা হচ্ছে বিশেষ বিশেষ দিবস গুলো।
বুধবার ছিল ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকালে কর্মসূচী পালন করে উপজেলা ছাত্রলীগের মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী-সমর্থক। তবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কার্যক্রম। হয়নি কোনো আনন্দ শোভাযাত্রা, অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কোনো নেতাকর্মীকে। তৃণমূল ছাত্রলীগের দাবি দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে রৌমারীতে।
এসময় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, মাসুকুর রহমান বিপ্লব, মোহাম্মদ আবু রায়হান, মো. ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মো. সাজেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইমরান খানসহ উপজেলার ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রলীগকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সোহেল-তুষারের নেতৃত্বাধীন রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা কমিটি। পরে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর এক বছরের জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুজ্জামান রনি। ওই কমিটিতে সভাপতি পদে মাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সোহেল রানার নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার এক ঘণ্টা পার হতে না হতেই প্রমাণিত অভিযোগ থাকায় তা বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা কমিটি। তখন থেকে কমিটিশূন্য রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় তৃণমূল ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহযোগিতা না থাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে।
ছাত্রলীগের আরেক নেতার দাবি, ২০১৯ সাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের যত কর্মসূচি হয়েছে, তা নিজ দায়িত্বে পালন করছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি দেখার কেউ নেই। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা তাদের খোঁজ-খবর নেন না। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকার কথা স্বীকার করেন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দ্রুত দেওয়ার জন্য ওপরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কথাও হয়েছে। কমিটি দেয়ার জন্য এরই মধ্যে সিভি (জীবন বৃত্তান্ত) আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুতই কমিটি দেওয়া হবে।
বাবু/জেএম