নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের বিএনপি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিত্ব সাবেক সংসদ সদস্য এম মোজাম্মেল হক না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনসাধারন ও পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবুহেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে গুরুদাসপুর নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, নাতি নাতনী, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রহী রেখে গেছেন। শুক্রবার সকাল ১১টায় বনপাড়া কালিকাপুর স্কুল মাঠে তার প্রথম জানাজা এবং বিকেল ৩ টায় গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ এশা রাজধানী ঢাকায় মিরপুর শাহ আলী (রঃ) মাজার ময়দানে তৃতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানায়, বিএনপির সাবেক ওই এমপি তাঁর নির্বাচনী এলাকার সকল উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের পাশাপাশি খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজ, রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ, আহমেদপুর মোজাম্মেল হক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সক্রিয় ও সংগ্রামী ভূমিকায় রাজনৈতিক জীবন পরিচালনা করেছেন। মোজাম্মেল হকের আকস্মিক মৃত্যুতে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের নেতৃত্বদানকারী একজন অভিভাবককে হারালেন।
মরহুমের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা। এছাড়াও নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এবং গুরুদাসপুর পৌর মেয়র মো.শাহনেওয়াজ আলী মোল্লাসহ আওয়ামীলীগের প্রায় সকল নেতা কর্মীরা বিএনপির সাবেক এমপি মোজাম্মেল হকের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
-বাবু/এ.এস