অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে খাদ্য সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে। গমের জন্য হাহাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে দেশটির কয়েকটি প্রদেশে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এক বস্তা আটার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের পেছনে ছুটছে মানুষ, সুযোগ পেলেই হামলে পড়ছে।
টুইটারে ন্যাশনাল ইকুয়ালিটি পার্টি জম্মু-কাশ্মীর গিলগিট বালুচিস্তান অ্যান্ড লাদাখের (জেকেজিবিএল) চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা এমন একটি ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটি কোনো মোটর সাইকেল র্যালি নয়, আটা কেনার আশায় আটা বোঝাই একটি ট্রাক তাড়া করছে পাকিস্তানিরা। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের চোখ খোলা জরুরি। পাকিস্তানে কি আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে?’
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ মোটরসাইকেলে চেপে আটার বস্তা বহনকারী একটি ট্রাক তাড়া করছে। আটার আশায় এক ব্যক্তি ট্রাকের পেছন পেছন দৌড়ে শেষ পর্যন্ত এক বস্তা আটা কিনতে সক্ষম হন। এর পরেই ট্রাকে থাকা কর্মীকে বলতে শোনা যায়- আর আটা নেই, গেট বন্ধ করো; গেট বন্ধ করো।
ইন্ডিয়া টুডে আরও জানিয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, স্বল্প বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতো বৈশ্বিক ঋণদাতারা ঋণ দিতে অস্বীকার করার কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন মারাত্মক সংকটে।
পাকিস্তান সরকার জনগণকে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আতঙ্কজনক হলেও সত্যি, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাকিস্তানিরা এলপিজি (রান্নার গ্যাস) সংরক্ষণের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করছেন। গ্যাস সিলিন্ডারের স্বল্পতা এবং দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বিক্রেতারা সরবরাহ কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির হার ২৫ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছায়। গম পাকিস্তানের সিংহভাগ মানুষের অপরিহার্য প্রধান খাদ্য। দামের কারণে গমও পাকিস্তানি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |