মানুষের মুখে দিঘিটি ঘিরে বেশ রহস্যময় গল্প রয়েছে। প্রায় আড়াইশ বছর আগে দিঘিতে পানি পান করতে নেমে উধাও হয়ে যান এক নববধূ। এরপর সবার মুখে মুখে এ কাহিনী। সময়ের পরিক্রমায়ও এ গল্প মুছে যায়নি। এ জনশ্রুতি লক্ষ্মীপুরের খোয়াসাগর দিঘিকে ঘিরে। রহস্যময় এ দিঘিটি এখন বিনোদন কেন্দ্র।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে জেলার অন্যতম প্রধান নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র খোয়াসাগর দিঘি। এটি এখন খোয়াসাগর দিঘি পার্ক হিসেবে পরিচয় বহন করতে শুরু করেছে। দর্শনার্থীদের পদচারণায় দিঘি এলাকা অঘোষিত পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে রুপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে বিনোদনপিপাসুদের ভিড়। বিশেষ করে শুক্র-শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে উপড়ে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। জেলার বিভিন্নস্থান থেকে বাসিন্দারা একটু সময় পেলেই প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নির্মল বাতাসের জন্য সেখানে ছুটে আসছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরে কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। এজন্য সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় দিঘি এলাকাকে নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর উত্তর, পশ্চিম পাশে গাইডওয়াল এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। দিঘিমুখী করে খোলা আকাশের নিচে চেয়ার দিয়ে দর্শনার্থীদের বসা ও সোলার ল্যাম্পপোস্ট দিয়ে রাত্রিকালীন আলোর ব্যবস্থাও করা হয়। দিঘিতে ঘোরার জন্য কয়েকটি নান্দনিক ছোট নৌকাও রয়েছে। পাড়ে বিভিন্ন রং-বেরংয়ের ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। ওয়াকওয়েতে রেলিং দেওয়ায় শিশুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছেন। বাকি কাজগুলোও চলমান। এ অবস্থায় প্রতিদিনই বিনোদনপিপাসু দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।
বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |