বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতির যথাযথ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি'র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) তার দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
বিজিবি'র টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৪০০ মিটার দক্ষিণে আলুগোলা নামক এলাকার লবণ মাঠ দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি হতে একটি চোরাচালান খবর পেয়ে টহলদল বর্ণিত এলাকায় কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণ মাঠে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল ২/৩ জন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে লবণ মাঠের দিকে আসতে দেখে টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে ।
তারা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের কাছে থাকা ৪টি প্লাষ্টিকের পোটলা ফেলে অন্ধকারের লবণ মাঠের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্লাষ্টিকের পোটলা উদ্ধার করে তার ভিতর হতে (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীদের আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিদের পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে, জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
বাবু/জেএম