বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫
প্রি-পেইড মিটার রিচার্জে ১৮০ ডিজিটের সংখ্যা, ভোগান্তিতে গ্রাহক
কোরবান আলী তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:১৪ PM

দীর্ঘদিন ধরে নিজ গ্রামের বাড়ি ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন আসছেন ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী তৌফিকুর রহমান। এদিকে ব্যবসায়ী হিসেবে তার কাছে প্রি-পেইডের অসংখ্য গ্রাহক তার কাছ থেকে সেবা নেন। কয়েকদিন আগে তার প্রি-পেইড মিটারের টাকা শেষ হয়ে যায়। পরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ থেকে প্রি-পেইড মিটারের জন্য ৫০০ টাকা রিচার্জ করেন। সেখানে দেখতে পান নতুন করে ১৮০ ডিজিট সংখ্যার লম্বা এক টোকেন সিরিয়াল নাম্বার।

এরপর বাড়ি ফিরে প্রি-পেইড মিটারে সেই ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার মিটারের বাটন চাপতে থাকে। হঠাৎ করে একটি সংখ্যা ভুল হয়। তখন থেকেই শুরু হয় ভোগান্তি। পর পর ৩ থেকে ৪ বার চেষ্টা করার পর সঠিক ডিজিট তুলে মিটারে টাকা রিচার্জে সক্ষম হন। এতে সময় তার ১৫ থেকে ২৯ মিনিট সময় লেগেছে। আগে যেখানে মাত্র ২০ ডিজিটের সংখ্যা ওঠাতে সময় লাগত ১ মিনিট।

ভোগান্তির শিকার ঐ গ্রাহকের বাড়ি উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক তৌফিকুর রহমান। তৌফিকুর রহমান জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমি প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করে আসছি। আগে কখনো এমন ভোগান্তির শিকারে হইনি। ২০ ডিজিটের পরিবর্তে ১৮০ ডিজিটের সংখ্যা উঠানো অনেক ঝামেলা। একটি সংখ্যা ভুল হলেই পুনরায় উঠাতে হয়। শুনেছি বিদ্যুতের দাম মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রি-পেইড মিটার আপডেট করা হয়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত ১৮০ ডিজিট। এখন কথা হলো, অনেকেই ১৮০ ডিজিট কিভাবে মিটারে উঠাবে সে নিয়মই জানেন না। আবার জানলেও ভুল করে বসেন টোকেন নাম্বার উঠাতে। তাছাড়া বিদ্যুত অফিস থেকে যে টোকেন দেওয়া হয় সেগুলোর লেখাও খুব ছোট। যায় ফলে অনেকে নাম্বারো ঠিক মত চোখে দেখবেনা।

তৌফিকুর রহমানের মতো প্রি-পেইড গ্রাহকরা জানান, প্রি-পেইড মিটার লাগানোর শুরু থেকেই ঝামেলা ও বিরক্তিকর অবস্থায় পরেছি আমরা। ২০ ডিজিটের পরিবর্তে নতুন করে ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও মিটারে টাকা দেখালেও মাঝে মাঝে ঘরে বিদ্যুৎ যায় না। পরে কয়েকজনের কাছে বিষয়টি বললে তারা জানায় মিটারে লক পড়েছে। লক ছাড়াতে গেলেও অনেক ভোগান্তি শিকার হতে হয় । 

ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুরে প্রায় ৪৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে মিটার ২৫ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারি গ্রাহকরাই এ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 

এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হয় তখন অটোমেটিকভাবে এ প্রি-পেইড মিটারে অতিরিক্ত ডিজিট যোগ হয়। এটি একবারই হবে। পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত আগের ২০ ডিজিটি থাকবে। ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে যাতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয় সে লক্ষ্যে গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত