রাজধানীর উত্তরখানে ওএমএসের বস্তা ভর্তি চাল ও আটা রাতের অন্ধকারে খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলার মোশাররফের পরিচালক আসাদের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বুধবার রাতের আধারে উত্তরখান মাজার সংলগ্ন থানা রোডে অবস্থিত মোশাররফ ডিলারের দোকান থেকে চাল ও আটা ভর্তি বস্তা খোলা বাজারে বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগেও মোশাররফ ডিলারের পরিচালক আসাদের বিরুদ্ধে রাতের আধারে বিদ্যুৎ চালিত ইজিবাইক যোগে বস্তা ভর্তি চাল ও আটা বিক্রির ভিডিও চিত্র রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে, বিষয়টি নিয়ে ওএমএসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে কথাও হয় কিন্তু তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি।
সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে মোর্শারফ ডিলারের চিত্র। দোকান বন্দ থাকার কথা এমন সময় ভেতরে কয়েকজন কর্মচারি নিজ রেজিস্টার খাতায় মন মাফিক নাম লিখছে এবং দুজনে মিলে টিপসই দিচ্ছে। তখন চালের বস্তা মজুদ ছিল ৩৩ বস্তা এবং ২৬টি আটার বস্তা থাকলেও পরদিন সকালে দোকান খুল্লে প্রতিবেদকের চোখে পড়ে ভিন্ন চিত্র। ২০বস্তা চাল এবং ১২বস্তা ভর্তি আটা দেখা যায়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে বাকি বস্তা গেল কোথায়? এভাবে প্রতিনিয়তই চাল ও আটা রাতের আধারে বিক্রির অভিযোগ নতুন নয়।
উপস্থিত কয়েকশত ক্রেতা সাধারণ ন্যায্য মুল্যে ওএমেসের চাল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভোর ছয়টা থেকে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মেলে না। সপ্তাহে দুদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল ও আটা বিক্রির কথা থাকলেও দিনের বেলা আসা ক্রেতার নিকট হতে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহের মাধ্যমে যথা সামান্য বিক্রি করে বাকিটা খোলা বাজারে নিয়মিত বিক্রি করে আসছে এই চক্রটি অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন বলেন, রাতে দুইবার চাল আটা গাড়িতে করে বিক্রি করে, আমরা দেখি কিন্তু কি করব। নেতারা তাদের পকেটে। কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টা বিপদে পড়তে হয়। অসহায় ক্রেতা সাধারণ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা আটা পাই না। কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। যারা তাঁর পরিচিত তাদেরকে দেয়। বাকিটা আন্ধকারে বেইচ্চা দেয়। আভিযোগ করে আরও বলেন, রাত দুইটা থেকে ইটা দিয়ে সিরিয়াল দিয়ে রাখে কয়কজন। ভোর ৫টা বাজে আসলেও লম্বা সিরিয়াল পেতে হয়। তার পরেও আসি কিন্তু বেলা শেষে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়।
এ বিষয়ে মোশাররফ ডিলার পরিচালক আসাদ বলেন, আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো। এ বিষয়ে প্রধান রেশনিং চীফ সুমাইয়া খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি। ঢাকার আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাদের একজন কর্মকর্তা আছেন যিনি বিষয়টি দেখেন। তারপরও আপনি আমাকে ঠিকানা লিখে দিন বিষয়টি দেখছি।
বাবু/জেএম