চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সংরক্ষিত উপকূলীয় বন থেকে অবাধে উজাড় হচ্ছে গাছ। এতে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগকে ম্যানেজ করেই প্রতিনিয়ত বন থেকে গাছ কাটছে এক শ্রেণির মানুষ।
তদারকি না থাকায় বনভূমিসহ খাস জায়গা দখলে মেতে উঠেছে বিভিন দখলদার ও প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় বৃক্ষ শূন্য হয়ে ধ্বংসের কবলে পড়ছে জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ।
বনবিভাগের সাথে আতাঁত করে দখল দারীত্ব চলার অভিযোগও উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উত্তর ভাটেরখীল প্রতিনিয়তই উপকূলীয় বনাঞ্চল বিলীন হচ্ছে। গতবছর পরিচর্যার অভাবে রোপনকৃত চারা একমাস পার না হতেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার মধ্যে প্রায়ই বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গাছ উজাড় করছে একটি চক্র। তবে, বিষয়টি অবগত করা হলেও বনবিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিনের সাড়া পাওয়া যায়নি। এটিই জানার পরও তিনি ব্যবস্থা নিতে উদাসীন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে সরকারি খাস জমি দখল নেওয়ার পরিবর্তে উল্টো দখলদারদের সুবিধা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে উপকূলীয় রেঞ্জার কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবলায় উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬ হাজার একর ভূমিতে রয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বনায়ন রক্ষায় ৪ বিটের অধীন নিয়োজিত রয়েছে বন কর্মকতা-কর্মচারীরা। এরপরও নিয়মিত পরিচর্যা নতুন বনায়ন গড়ে না উঠায় বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে কয়েক হাজার বনভূমি। এ অবস্থায় অরক্ষিত পতিত জায়গার উপর দখলদারদের কু-নজর পড়েছে। রীতিমত ঘেরা-বেড়া দিয়ে শুরু হয়েছে বনের জায়গা দখল। বন বিভাগর উদাসীনতা ও ঘুষ বানিজ্যের কারনে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নতুন বনায়ন গড়ে না উঠায় বৃক্ষ শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে শত শত একর বনভূমি। নতুন বনায়ন তা দূরের কথা, উল্টা বন কেটে উজাড়ে ব্যস্ত বনবিভাগের কর্তারা। এভাবে যুগ যুগ ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকায় বনের জায়গা বেদখল হয় পড়ছে বলে জানান তারা। তবে সক্ষমতার অভাব জায়গা উদ্ধারে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহন করতে পারছেন না উপকূলীয় রেঞ্জার কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, উপকূলীয় বনায়ন বহু জায়গার উপর বন থাকলেও অধিকাংশ জায়গা সরকারী খাসভুক্ত। যে কারনে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের সহযোগীতা ছাড়া দখলদারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। তারপরও বন সংরক্ষন অভিযান পরিচালিত হয়।
আদৌ কি নিয়তন্ত্র রাখা সম্ভব হয় না? এভাবে বন বিভাগর দায়সারা দায়ীত্ব রক্ষা হচ্ছে না বনাঞ্চল। দখলদার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে আতাঁত করে দখলদারীত্ব চলায় ঝুকিপূর্ন হয় উঠছে পরিবেশের ভারসাম্য।
এ বিষয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, বনায়নের জায়গা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষপ নেয়া হবে। যে সমস্ত জায়গা বেদখল হয় পড়েছে তা উদ্ধার করে নতুন নতুন বনায়ন গড়া হবে বল জানান তিনি।
-বাবু/এ.এস