ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে অভিবাসন আবেদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় গেলো বছর এর সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশের মতো। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর ইইউর দেশগুলোতে অভিবাসনের জন্য আবেদনের হিড়িক পড়ে যায়। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০১৬ সালে শরণার্থী ঢলের পর এবারই অভিবাসনের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েসহ ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন ৯ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫১ হাজার ৮১৫ জন এমন আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে সিরীয় ও আফগান নাগরিক সবচেয়ে বেশি। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দেশ দুটি থেকে এক-চতুর্থাংশ আবেদন জমা পড়েছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিলেও তারা এ হিসেবের মধ্যে নেই। কারণ তারা ইইউর সাময়িক সুরক্ষা নীতির আওতায় আশ্রয় পেয়েছেন। নিবন্ধিত হওয়ার পর বিধি অনুযায়ী সুরক্ষা পাচ্ছেন তারা।
বাবু/এ আর