কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের আট ঘণ্টা পর মুক্তিপণ দিয়ে অপহৃত দুই শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। শুক্রবার (৩ মার্চ) মধ্যরাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়ার পাহাড়ি এলাকায় দুই শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শনিবার (৪ মার্চ) অপহৃত শিশুদের চাচা সাংবাদিক আবদুল আলীম নোবেল জানান, অপহৃত দুই শিশু-কিশোর তার আপন ভাতিজা। তাদের মধ্যে সালমান (৫) নামের শিশুর বাবা হোসেন আলী একজন প্রবাসী। অপহরণকারীরা প্রবাসীর সন্তানকেই টার্গেট করেছে। অপরজন ওবাইদুল্লাহ (১৬), তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী।
সংবাদকর্মী নোবেল আরো জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশকে অবহিত করেছেন। অপহরণকারীদের ৭০ হাজার টাকা বিনিময়ে প্রথমে শিশু সালমানকে ফিরিয়ে দেয়। এরপর ওবাইদকে নিয়ে পাহাড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা অপহরণকারীদের কাছ থেকে তাকেও ছাড়িয়ে আনে।
তবে পুলিশের দাবি অভিযানের মুখে ওই শিশুদের অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা দুই শিশুকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে রাত দেড়টায় মারিশবুনিয়ার পাহাড়ি ঢালু থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধার শিশু সালমানের বয়স কম হওয়ায় রাতেই মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওবায়দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
বাবু/জেএম