চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর কদম রসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে উড়ে আসা প্ল্যান্টের একটি লোহার টুকরার আঘাতে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার নাম মো. শামসুল আলম (৬৫)। তিনি কদম রসুল এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
এদিকে, বিষ্পোরণের পর থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষের মোবাইল সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কারখানার ভিতরে অনেক শ্রমিক নিহত-আহত হলেও দুর্ঘটনা পতিত ব্যক্তিদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি সীমা অক্সিজেন প্লান্টে মালিক পক্ষ। দুর্ঘটনার পর সীমা অক্সিজেনের দায়িত্বশীল কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যাইনি।
ঘটনাস্থলে ব্রিপিংয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম শনিবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিস্ফোরণে ফলে প্ল্যান্টের ভিতর বিষ্পোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। বিষ্পোরণের বিকট শব্দে আশপাশে আধা কিলোমিটার এলাকায় বাড়িঘর ও অফিস-আদালত কেঁপে ওঠে। বিকট শব্দে অনেক স্থাপনার দেয়াল ও কাচ ভেঙে যায়। বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। আধা কিলোমিটার দূরে শামসুল আলম নামে এক ব্যক্তি দোকানে বসেছিলেন। সেখানে ঘটনাস্থল থেকে উড়ে আসা লোহার টুকরা তাকে আঘাত করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বিষ্পোরণের ঘটনায় অনেকের হাত-পা ঝলসে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে উড়ে আসা লোহার টুকরার আঘাতে আধা কিলোমিটার দূরে শামসুল আলম নামের একজন মারা গেছেন। আহতদের অনেকের বিভিন্ন অঙ্গ জ্বলে নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তারা।
গত বছরের ৫ জুন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এমনই এক বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডের প্ল্যান্টের দূরত্ব আধা কিলোমিটার।
দুর্ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও এসপি মো. শফিউল্লাহ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাও থাকবেন।
সন্ধার সাতটার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমসহ প্রশাসনিক উচ্চ প্রদস্থ কর্মকর্তা ঘটনা তদন্তে নামে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনো উদ্বার তৎপরতা চলমান রয়েছে।
-বাবু/এ.এস