সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম রোহান, এনায়েত উল্লাহ এবং সালমান চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও নির্মম নির্যাতনের চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অযোগ্য প্রক্টরের অপসারণ এবং অস্ত্রধারী, অছাত্র ও খুনের মামলার আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞার দাবীতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
রবিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সহস্রাধিক সাধরণ শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
গত ৮ই মার্চ ছাত্রনেতা এনায়েত উল্লাহ,সালমান চৌধুরী ও রোহানকে মারধরের ঘটনায় দোষীদের ৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও গ্রেফতারের আওতায় না আনা ও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিগত বছরের অক্টোবরে ক্যাম্পাসে সংঘটিত তাণ্ডবের কথাও উঠে আসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে।
এসময় প্ল্যাকার্ডে ‘সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রক্টর, প্রক্টরের জন্য শিক্ষার্থী নয়, ভারমুক্ত প্রক্টর চাই’ লিখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। মানবন্ধনের বক্তব্য রাখেন নাজমুল হাসান পলাশ, সাদ্দাম হোসাইন, ইসরাত হোসেন জেরিন, জিদনী, শারমিন মেঘলা,তাহারাতবির পাপন মিয়াজী, রাফিউল আলম দীপ্তসহ অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন মেঘলা বলেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত মারধরের ঘটনায় দায় না নিতে পারায় প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাই। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত চিন্তাধারা একটি স্থান। কিন্তু আমরা মুক্ত চিন্তাধারার প্রতিফলন করতে পারিনি। বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে আমরা দেখতে পাই প্রক্টর স্যারের প্রত্যক্ষ মদদে ক্যাম্পাস বারবার উত্তপ্ত হয়েছে।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাফিউল আলম দীপ্ত তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রক্টরের মদদপুষ্টে দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে নৃশংস ভাবে আক্রমণ করে বহিরাগতরা। আমরা প্রক্টরের প্রত্যাহার চাই’।
এসময় নিরাপত্তার শঙ্কা প্রকাশ করে তাহারাতবির পাপন মিয়াজী বলেন,সম্প্রতি ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত মারধরের ঘটনায় দায় না নিতে পারায় তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহত চাই। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত চিন্তাধারা একটি স্থান।
কিন্তু আমরা মুক্ত চিন্তাধারার কতটা প্রতিফলন করতে পারিনি। বিগত কয়েক মাসের ব্যবধামে আমরা দেখতে পাই প্রক্টর স্যারের প্রত্যক্ষ মদদে ক্যাম্পাস বারবার উত্তপ্ত হয়েছে। প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিগত ৫ বছরে আমাদের ক্যাম্পাস একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।
বাবু/জেএম