গাজীপুরের শ্রীপুরে ”আল-আমিন পোল্ট্রি ফিড” দোকানের নিরাপত্তা প্রহরীকে খুন করে সিন্দুকসহ নগদ টাকা ও কয়েকটি ব্যাংকের চেক লুটের ঘটনার দেড় মাস পর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুটে নেয়া ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ টাকার মধ্যে ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মণ্ডলবাড়ি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আমিনুল ইসলাম রতন (৩৩), জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিমলাপাড়া (শিড়িশগুড়ি) গ্রামের আবুল হাসেম ওরফে হাসুর ছেলে শরিফ সরকার (৩৮), ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পাগুলি (ঢাকির কান্দা) গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে সোহেল ফকির (৩৭) এবং গাজীপুর মহানগরের পুবাইল (হায়দারাবাদ) এলাকার ওমর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা (৩৮)।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে আমিনুল ইসলাম রতনকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা এবং শরিফ সরকারকে উপজেলার জৈনা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে সোহেল ফকির ও মোহাম্মদ আলী মোল্লাকে উপজেলার এমসি বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে তাদেরকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আমিনুল ইসলাম রতন ও মোহাম্মদ আলী মোল্লা দিনে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙারি মালামাল ফেরি করে বেড়াতো। এই ফেরির আড়ালে তারা মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যে টার্গেট নির্ধারণ করতো। এবং টার্গেট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তাদের দলনেতাকে (পলাতক) অবগত করতো। পরে দলনেতার পরামর্শে রাতে তারা ডাকাতি করতো। পলাতকদের বিরুদ্ধে খুনসহ একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি ভোর আনুমানিক ৪টায় শ্রীপুর পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কেওয়া পশ্চিম খণ্ড মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ বক্সের ১০০ গজ (দক্ষিণ পাশে) আল-আমিন পোল্ট্রি ফিড দোকানে তারা ডাকাতি করে। তাদের বাধা দেওয়ায় নিরাপত্তা প্রহরী হেলাল উদ্দিন (৫৮) হত্যা করে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন হোতাপাড়া (বেগমপুর) এলাকায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
-বাবু/এনএইচ