গাজীপুরের টঙ্গীতে কামরুন নাহার (৪১) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী-সন্তানসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। রোববার ভোররাতে স্থানীয় আরিচপুর গার্লস স্কুল রোডে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত কামরুন নাহার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ছোটহরণ গ্রামের মৃত হাজী আ.গনি মিয়ার মেয়ে।
আটক তিনজন হলেন, নিহতের স্বামী নাজিম উদ্দিন (৫০), ছেলে জুলকার নাঈম (২০), ও দেবর সাইম উদ্দিন (৪০)।
পুলিশ জানায়, কামরুন নাহারের স্বামী নাজিম উদ্দিন ওই এলাকার একটি ৮তলা নির্মানাধীন ভবনের কেয়ারটেকার। এ সুবাদে নাজিম ছেলে ও ভাইকে নিয়ে ভবনের একটি কক্ষে বসবাস করেন। কয়েক দিন পূর্বে কামরুন নাহার গ্রামের বাড়ি থেকে তার স্বামীর বাসায় আসে। স্বামীর সাথে তার তেমন একটা বনিবনা ছিলনা। সাংসারিক খঁটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই স্বামীর সাথে তার কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া-বিবাদ হতো। রোববার ভোররাত ৩টার দিকে সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাথরুমে যায়। এসময় ৮তলা ভবনের ছাদে কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় ছাঁদ থেকে পড়ে যায় সে। এতে তার মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী, সন্তান ও দেবরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলতে পারব এটি হত্যা না দুর্ঘনাজনিত মৃত্যু বা আত্মহত্যা। তবে নিহতের কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল বলে জেনেছি। সে দিকটিও আমরা তদন্ত করছি।
বাবু/ এনবি