খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনায় সেলিম আজাদের দায়ের করা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রবিবার(১৯ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সেলিম আজাদ।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে সেলিম আজাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে তারা বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে ও প্রকাশ্যে ক্ষয়-ক্ষতিসহ মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছিল।
১মার্চ রাতে সেলিম আজাদের বাড়ির পাশে সরকারি পানির লাইন স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ করতে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে শ্রমিকদের কাজে সহযোগিতার সময় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুন ১০-১২ জনের দলবলসহ দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয় ও লোহার রড, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়।
পরে লোকজন এসে পানির লাইন স্থাপনের জন্য করা ৮-৯ফুট গভীর গর্তে মাটি চাপা দিয়ে পূঁতে ফেলা ও মুখের ভেতর মাটি ঢুকানো অবস্থায় সেলিম আজাদকে জীবিত উদ্ধার করেন।
বেধড়ক মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মো. সেলিম আজাদ। তার হাতের ৩টি হাড় ভেঙে গিয়েছে, মাথায় ২৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তাদের মামলার আবেদন গ্রহন করেনি। পরে আদালতে পিটিশন দায়ের করেন সেলিম আজাদ। আদালত শুনানি শেষে রামগড় থানাকে মামলা গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনার ১৯দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে আসামিদের গ্রেফতার করছেনা।
মামলার বাদী সেলিম আজাদ বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার না করায় পূর্বের মামলার আসামিরাসহ সকলে একত্রিত হয়ে কয়েকদিন পরপর আমার বাড়িতে দল বেধে গিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানের সামনে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে যেকোন সময় আমাকে তারা হত্যা করবে।
তিনি বলেন, নিরুপায় হয়ে আমি আমার ও আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছি।
-বাবু/এনএইচ