আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতে কিশিদা ইউক্রেন যাচ্ছেন। এমন সময় তিনি এই সফর করছেন যখন প্রতিবেশী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিনদিনের সফরে মস্কো রয়েছেন। তিনি ট্রেনপথে কিয়েভ রওনা হয়েছেন ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ইউক্রেনের জনগণের ধৈর্য এবং সাহসের প্রতি সম্মান জানাবেন। ইউক্রেনের প্রতি তিনি জাপানের অবিচল সমর্থন এবং সংহতি ব্যক্ত করবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির দেশ জাপান তাদের নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। চীনসহ অন্যান্য দেশের হুমকি মাথায় রেখে দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে দেশটি। কিশিদার সরকার চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি এবং পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ উত্তর কোরিয়ার অপ্রত্যাশিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনকে ঘিরে। মনে করা হচ্ছে, চীন তার মূল খণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করতে একই ধরনের হামলা চালাতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান শান্তিবাদী সংবিধান প্রণয়ন করে। সেখানে সামরিক ক্ষমতাকে স্পষ্টতই প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
কিন্তু গত বছর জাপান তাদের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষানীতি হালনাগাদ করে। সেখানে স্পষ্টভাবে চীনের উত্থাপিত চ্যালেঞ্জের রূপরেখা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০২৭ সাল নাগাদ তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে, যা তাদের জিডিপির ২ শতাংশ হবে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো তাদের জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে।
বাবু/এ আর