অবশেষে সেই আলোচিত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায় মোহন কুমারকে (২৮) আটক করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল। সোমবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১মার্চ) সকালে ফরিদপুর র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে,এম শাইখ আকতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ওই রাতেই তাকে ফরিদপুরের সালথা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সাদিক বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা রায় মোহনের সঙ্গে একটি মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস ধরে তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ মার্চ দুই পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে সালিশ করে।
তিনি বলেন, সেই সালিশে উভয়ের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮। পরে সালথা থানা পুলিশের কাছে রায় মোহনকে হস্তান্তর করেন র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ সালথায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায় মোহন কুমারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ফরিদপুরের একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের ইভটিজিংয়ের শিকার ওই তরুণী।
১৩ মার্চ বিকালে সালথার স্থানীয় একটি সংবাদপত্র অফিসে ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনকে দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী সেই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। একই দিনে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায় মোহনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বাবু/এনএইচ