ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অপহরণ চেষ্টা মামলায় রিপন ভূইয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রিপন ভূইয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মো. হারুন ভূইয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই গ্রামের মুড়ির বাড়ি এলাকার মৃত মো. শানু মিয়ার ছেলে আমজাদ আলী (৩৮)কে অপহরণের পর মারধর করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার মামলায় তাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে আমজাদ আলী।
লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে অটোরিকশা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় খালাজুড়া-আনোয়ারপুর সড়কে আসাদ মিয়ার পুকুরের কাছে পৌঁছামাত্র ৩/৪ জন লোক আমজাদ আলীর অটোরিকশা পথরোধ করে আমজাদ আলী এবং অটো চালককে বেদম এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে টানা হেঁচড়া করে একটি মাইক্রোতে উঠিয়ে নেয়। মাইক্রোতে তুলে কাপড় দিয়ে আমজাদ আলীর চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে কসটেপ লাগিয়ে দেয়। খুনের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ৩টি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। তার পকেট থেকে ৩৫ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। অপহরণকারীরা শেষ রাতের দিকে আখাউড়া-সিলেট রেলপথের পূর্ব পাশে বাইপাস এলাকায় রশি দিয়ে বেঁধে আমজাদ আলীকে ফেলে যায়। পরে তিনি হাঁটতে হাঁটতে সিএনজি স্ট্যান্ডে গেলে সেখানকার নাইড গার্ড এবং অন্য লোকেরা তার মুখের কসটেপ এবং হাতের রশির বাঁধন খোলে দেয়। পরে তাদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।
আমজাদ আলী অভিযোগ করে বলেন আমার ভাইরা ভাই রিপন ভূঁইয়া আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে প্রতারণা করে। আমি দেশে ফিরে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। মামলা করার পর থেকেই তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে আমাকে অপহরণ করে মারধর করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণ করেছি। আটককৃত ব্যক্তি ঘটনার সাথে জড়িত, তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।
বাবু/জেএম