চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন গোয়াছ ফটির এলাকায় গত ৪ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় ৬০ বছরের বৃদ্ধ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় ৬ বছরের শিশু ৷ এই ঘটনায় ৫ এপ্রিল শিশুটির মা বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভিজটিম শিশুটি তার মায়ের সাথে যেখানে বসবাস করতো তার পাশের বাসাতে ভাড়া থাকে ধর্ষক খাজা মিয়া। ঘটনার দিন খাজা মিয়া তরমুজ খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। শিশুটি ঘরে প্রবেশ করলে খাজা মিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং শিশু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকার শুনে তার মা দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসলে ধর্ষক খাজা মিয়া দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ভিকটিমের মা আসার পর ভিকটিম কান্নাকাটি করতে করতে তার মাকে ধর্ষণের কথা খুলে বলে।
এই সংক্রান্ত মামলা রুজুর পর থেকে থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৭ বিষয়টির ছায়া তদন্ত শুরু করে। আর মামলা রুজুর মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক খাজা মিয়াকে (৬০) গ্রেফতার জরতে সক্ষম হয় র্যাব-৭।
এই বিষয়ে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, ভুক্তভোগী নাবালিকা ভিকটিমের বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করে ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের আমরা ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি দল গত ৫ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন গোয়াছ ফটির এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামি খাজা মিয়া (৬০)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৭।
বাবু/জেএম