সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই সক্রিয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। আর দিনক্ষণ ঘোষণার পর সক্রিয় হয়েছেন আরো কয়েকজন। বিএনপি নেতারা এ ব্যাপারে নীরব থাকলেও জাতীয় পার্টি থেকে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী নগরজুড়ে পোস্টার ব্যানার টানিয়েছেন। আওয়ামী লীগে ৯ প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী রয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল। তখন দলটির ভরসা ছিলেন প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এরপর দলীয় অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যায় সেটি হাতছাড়া হয়ে যায়। মেয়র পদে প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিকল্প খুঁজছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও দলের নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্ত আসলেই জানা যাবে নৌকার কাণ্ডারী কে হচ্ছেন।
এদিকে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির লোক হওয়ায় আর কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। তবে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির নবাগত নেতা নরুল ইসলাম বাবুল। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দু-একজন কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলেও হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশী কেউই স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক এটিএমএ হাসান জেবুল, সংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবসায়ী ও ফুটবল সংগঠক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালিক, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। প্রসঙ্গত, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে, আপিল ২৬-২৮ মে, আপিল নিষ্পত্তি ২৯-৩১ মে, প্রত্যাহার ১ জুন এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ২০২৩, নির্বাচন ২১ জুন।
-বাবু/এ.এস