যুক্তরাজ্যের একটি গোয়েন্দা নজরদারি বিমানকে প্রায় ভূপাতিত করে দিয়েছিল রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান। যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া গোপন নথি থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে এমন ঘটনা ঘটে। ওইদিন ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় উড়ছিল যুক্তরাজ্যের একটি গোয়েন্দা বিমান। ওই সময় এ বিমানটি লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান।
এ ঘটনা সম্পর্কে অক্টোবরে দেশটির সংসদকে অবহিত করেছিলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণ সাগরের ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকা ব্রিটিশ নজরদারি বিমানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়ার বিমান।
তবে তিনি জানান, হয়ত রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েনি। ওই সময় এটিকে প্রযুক্তিগত সমস্যা বলেছিলেন তিনি। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, মস্কো বেপরোয়া আচরণ করছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া নথিতে এ ঘটনাকে ‘যুক্তরাজ্যের আরজে প্রায় ভূপাতিত’ এমন নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই নথিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের নজরদারি বিমানের সঙ্গে রুশ বিমানের এনকাউন্টারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফাঁস হওয়া নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ওই ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছিলেন, সেটি থেকে আসল ঘটনা আরও বেশি গুরুতর। যদি ওই সময় রুশ বিমানের আঘাতে যুক্তরাজ্যের নজরদারি বিমানটি ভূপাতিত হতো, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সরাসরি সংঘাত বাধার ঝুঁকি তৈরি হতো। কারণ বিমানটিতে যুক্তরাজ্যের সেনারা ছিলেন। আর ন্যাটোর অনুচ্ছেদ-৫ অনুযায়ী, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা মানে পুরো ন্যাটোর ওপর হামলা।
এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে কোনো জবাব দেয়নি।
বাবু/এ আর