কেরানীগঞ্জে জমি দখল করার উদ্দেশ্যে একটি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রঞ্জু সরকার সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ মান্দাইল এলাকায় সবীন্দ্র সরকার ও গোপাল সরকারের দখলে থাকা আট শতাংশ জমি পাওয়ার বলে মালিকানা দাবি করে স্থানীয় আল আমিন (৩৭) ও তার স্ত্রী পপি আক্তার (৩০) সহ ১০-১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী জোরপূর্বক জমি দখল করে সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় সবীন্দ্র সরকার ও গোপাল সরকার বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে। পরপরই মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন-অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িত আল আমিন, পপি আক্তার ও সরস্বতী নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনা জানতে জমি দখল করতে আসা আল আমিনের পরিবারের সাথে সাইনবোর্ডে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি। সবীন্দ্র সরকার জানান, কেরানীগঞ্জের মান্দাইল এলাকায় আমার দখলীয় জমি যাহা আরএস খতিয়ান নং ৬৬ এবং ৬৬৫, দাগ নং ৩১৯ এর ০৮ (আট) শতাংশ পৌত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এজমালি জমিতে ভোগদখল করছি। গত এক বছর পূর্বে আল আমিন তার স্ত্রী পপি সহিত উক্ত জমি সংক্রান্ত জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ৩০ মার্চ দুপুরে আলামিন, পপি ও মামলার আসামিরা বেআইনীভাবে আমাদের দখলীয় জমি বেদখল করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশ করে সাইনবোর্ড স্থাপন করে এবং গাছপালা কাটতে থাকলে আমি আমার পরিবারের লোকজন বাধা দেই এবং তারা বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। না হলে উক্ত জমি তারা আর ছাড়বে না বলে জানায়। তখন আমি আসামিদের বলি জমি আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত, কেন চাঁদা দিবো। একথা বলায় আল আমিনের হুকুমে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ ধাক্কা দিয়ে জমি থেকে বের হয়ে যেতে বলে। আমাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসে। এবিষয়ে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা।
আরেক ভুক্তভোগী দোলেয়ার হোসেন জানান, আমি জিনজিরা ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দাইল ৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দেওয়ানী মামলা ১৪৫ ধারায় মামলা চলাকালিন অবস্থায় ভূমিদস্যু পপি আক্তার ও তার স্বামী আল আমিন, উজ্জ্বল সরকার, রমা সরকারসহ আরও অনেক লোকজন নিয়ে আমাদের দখলীয় জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন কৌশল করে পপির মাধ্যমে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানী করে। এবং আমরা নিরীহ মানুষ বলে বারবার মিথ্যা নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন মিথ্যা মামলা ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন-অর রশীদ জানান, দুর্বৃত্তদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এবং কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা আদালতে বিচারধীন রয়েছে বলে জানান।
বাবু/জেএম