বরিশালের কাজিরহাট থানার কাদিরাবাদ গ্রামে ফরুক হোসেন চৌধুরীর কৃষি খামারে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ৫ শতাধিক ফলজ গাছ কেটে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে ৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
এ ঘটনায় কাজির হাট থানায় সাধারণ ডায়েরি ও আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার লতা ইউনিয়নের কাদিরাবাদ গ্রামে ফরুক হোসেন চৌধুরী ১৯৯৮ সালে তার বাড়ির পাশের ২ একর ১৭ শতাংশ ভিপি সম্পত্তি ডিসিয়ারের মাধ্যমে বুঝে নিয়ে কৃষি খামার গড়ে তুলেন। দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ ডিসিয়ার নবায়ন ও খাজনা পরিশোধ করে তার খামারে ফলজ গাছ রোপন করে ভালোই লাভ করে আসছিলেন।
২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর খামারে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২’শ বারি জাতের মাল্টা গাছ নিয়ে ও নিজের ক্রয়কৃত ২’শ সবরি জাতের করা গাছসহ ১ হাজার বিভিন্ন প্রকার ফলজ গাছ রোপন করেন। চলতি বছর সকল ফলজ গাছে ফলন ধরলে তার প্রতি নজর পরে স্থানীয় সন্ত্রাসী নুরে আলম চৌধুরী, নুর হোসেন চৌধুরী, নূর উদ্দিন চৌধূরী, স্বপন, শাহিন, মহিউদ্দিন কালু, রায়হান হাচান, মো. ইমরান, রহিম ফকির, শাহীন ফকির, নাসির হাওলাদার, ফিরোজ সিকদারদের।
তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দখলের উদ্দেশ্যে চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে কৃষি খামারে হামলা চালিয়ে সীমানার বেড়া ভাঙচুর করে। এবং ২০০ বারি জাতের মাল্টাসহ ৫ শতাধিক ফলজ গাছ কেটে কৃষি খামার তছনছ করে। পরে কেটে ফেলা গাছ গুলো পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। খামার মালিক ও স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করলে তারা বাড়ির ভেতরে ডুকে রক্ষাপায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাজিরহাট থানার ওসিকে অবগত করলে পুলিশ ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মামলার বাদী খামারের মালিক ফারুক হোসেন চৌধুরীর ভাই মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তার ভাইয়ের কৃষি খামারের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গত ৩০ মার্চ কাজিরহাট থানার একটি সাধারণ ডায়েরি যার নম্বর ১১৩৫ করা হযেছে। পরবর্তীতে গত ৬ এপ্রিল বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন কৃষি খামারের মালিক ফারুক হোসেন চৌধুরীর ভাই মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাজিরহাট থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
এ বিষয়ে কাজিরহাট থানার ওসি বলেন, মাল্টা গাছসহ ৫০০ গাছ কেটে ফেলার একটি সাধারণ ডায়েরি ও আদালতের একটি মামলা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাবু/জেএম