দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। সেই বিষয়টি মনে রেখে দেশের স্বাস্থ্যখাত বর্তমানে নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘মায়েদের মাতৃত্বকালীন সেবার মান বাড়াতে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। দেশের প্রায় ৪ হাজারটি ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের জন্য ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ২৪ ঘন্টা সেবাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ে আমরা দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা সেবাদান কর্মসূচির ব্যবস্থা চালু করবো’।
ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১২টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নামমাত্র ‘ফি’ এর মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এই সেবা দেশের সকল হাসপাতালে চালু করা হবে। সি-সেকশন সেবায় প্রাইভেট মেডিকেলে মাত্রাতিরিক্ত হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট মেডিকেলে বর্তমানে সি-সেকশন হচ্ছে প্রায় ৮০% যা উদ্যোগের বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সি-সেকশন হবার কথা মাত্র ১৫%। প্রাইভেট মেডিকেলে কেন এত বেশি হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, রোগী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী সংসদে এটি পাশ হলেই আইনটি কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-এর সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. বর্দন জং রানা।
বাবু/জেএম