কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
শাহ আলম, রাঙামাটি
প্রকাশ: বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩, ৮:০৯ PM
পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর তিন দিনব্যাপী উৎসবের শুরু হয়েছে বৈসাবির মূল আনুষ্ঠানিকতা। রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আজ থেকে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বৈসুক উৎসব।
বুধবার (১২এপ্রিল) সকালে রাঙামাটির গর্জনতলীতে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্য ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে ত্রিপুরাদের বৈসুক উৎসবের উদ্বোধন করেন, খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ,২৯৯নং সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সাজে
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার দেশে রূপান্তর করেছে। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূল অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল সম্প্রদায়ের বসবাস। এখানে বাঙালি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, পাংখোয়া, বমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বসবাস। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে পাহাড়ের মানুষও উজ্জীবিত। তিনি সকলকে বৈসাবির শুভেচ্ছা জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৪টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলা বর্ষকে বিদায় জানানোর এ অনুষ্ঠান তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে বিবেচিত। এই উৎসব চাকমা জনগোষ্ঠী বিজু নামে, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী মানুষ সাংগ্রাই, মারমা জনগোষ্ঠী মানুষ বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী বিষু, কোনো কোনো জনগোষ্ঠী বিহু নামে পালন করে থাকে। ঐতিহ্যবাহী পাঁজন রান্না করে অতিথি আপ্পায়নের মধ্যদিয়ে মুল বিজুর আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই জলোৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।