শিশুদের লোভনীয় খাবার আইসক্রিম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে তৃপ্তি নিয়েই খাচ্ছেন আইসক্রিম। প্রত্যেকের রুচি অনুযায়ী লেমন, অরেঞ্জ অথবা চকবার। কিন্তু কোন উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে চকচকে মোড়কে অস্বাস্থ্যকর লোভনীয় এসব আইসক্রিম। জেনে, না জেনে অভিভাবকরাও সেই উপকরণটি তুলে দেন শিশুদের মুখে যা খেয়ে সব বয়সী মানুষকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাছ সংরক্ষণের বরফ কলে নিম্ন মানের আইসক্রিম বানানোর জন্য ঘনচিনি, স্যাকারিন, খাওয়ার অনুপযোগী রং ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর এসব কারখানার নেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র। কমদামি এসব আইসক্রিমের গ্রাহক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নিম্ন আয়ের লোকজন। এই ধরনের আইসক্রিম স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফুর রহমান বলেন, বর্তমানে অতিরিক্ত গরমের জন্য বাচ্চারা বেশি আইসক্রিম খাচ্ছে। যেগুলো দাম খুব কম। স্থানীয় বাজারে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি করা হয়। এই আইসক্রিমগুলোতে সাধারণত অপরিস্কার পানি, রং, সেকারিন ব্যবহার করা হয় প্রতিটি উপাদনই ক্ষতিকর। অপরিস্কার পানিতে টাইফয়ের জীবানু থাকে। এগুলো খাওয়ার পর বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা, টাইফয়েড, পেটের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। ক্ষতিকর রং লিভার এবং কিডনিতে দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি সেকারিন বা কৃত্রিম চিনি এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ক্যানসার হতে পারে।
আমাদের এ ব্যপারে সচেতন হতে হবে। এ ধরনের আইসক্রিম খাওয়া থেকে বাচ্চাদেরকে বিরত রাখতে হবে। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবু/জেএম