চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মাধুর্য প্রতিনিয়ত বিস্তৃত হচ্ছে এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সাড়া দিচ্ছে। সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পর নতুন লে-আউটে সৈকতটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। নোনা-বালুকাময় বাতাসে শরীর ও মনের আলিঙ্গনে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে সমুদ্র সৈকত।
এদিকে, ঈদুল ফিতরকে ঘিরে পর্যটকের ঢল নেমেছে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে। ঈদের প্রথম দিন থেকেই পর্যটকে মুখরিত সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় স্থানগুলো। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্র হওয়ায় ভ্রমণ পিপাসুদের বাড়তি আগ্রহ দেখা যায় এই অঞ্চলে। ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে।
সরেজমিনে দর্শনীয় স্থান ঘুরে ঘরে দেখা যায়, সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় স্থানে ঈদের আনন্দ উপভোগে করতে কেউ পরিবার-পরিজন, কেউ বন্ধু-বান্ধব, কেউ নতুন বউ, আত্নীয়স্বজন নিয়ে ঘুরাঘুরি করে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসেন ঈদের ছুটিতে।
পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের সময় আসার কারণে আবাসিক হোটেলে বাড়তি ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। হোটেল মালিকরা ইচ্ছা মাফিক ভাড়া নিচ্ছেন। প্রশাসনের কোন ধরনের অভিযান ও তদারকি না থাকায় হোটেল মালিকরা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন বলে জানান দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।
সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাজার থেকে ৩ কি. মি. পশ্চিমে নামার বাজার রোডে সমুদ্র তীরে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। কেওড়া বাগানের পাশ দিয়ে ১ কিমি পথটি মাটির চেয়ারে ঢাকা, কাদা এবং ঘাসে ঘেরা, এটি ফোমে মোড়ানো প্রাকৃতিক সোফার মতো মনে হয়। আবার দূর থেকে ঘাসের জমির দিকে তাকালে চোখের সামনে ছোট ছোট টিলার মতো সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন। মনোরম গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বিভিন্ন সৌন্দর্য এবং মাধুর্যে সজ্জিত, দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের তার জাদু জালে আকৃষ্ট করে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের পাশাপাশি বাড়ছে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা, সৈকতমুখী সড়কে বাড়ছে যাত্রীবাহী গাড়ি।
এদিকে পর্যটকদের অভিযোগ, সৈকতে তীরে সন্ধা পর সিএনজি চালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন। আসার সময় দু’শ থেকে আড়াই’শ টাকা নেয়। কিন্তু সন্ধা হলেই চার’শ থেকে পাঁচ’শ টাকা নাহলে যেতে চাই না চালকরা। অনেকটা বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া, সন্ধার পর যে সব পর্যটকদের সমুদ্র বিলাসে ঘুরতে যায় তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন বলেও জানান কয়েকজন পর্যটক। যেহেতু সৈকতে এখনো কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এর আগে সন্ধার দিকে পর্যটকদের সাথে প্রায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল।
বাবু/জেএম