কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের পৃথক দু’টি অভিযানে ৪ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ১ কেজি ৬৫ গ্রাম আইস, ৩৫ বোতল বিদেশী মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করেছে। এ সময় চারজন রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটককৃত পাচারকারীরা হলেন- মিয়ানমার মংডু বরগী গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে ওয়াজ করিম (২২), বুচিডং চিলডং গ্রামের আমির হাকিমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৯), টেকনাফ হ্নীলা মোচনী ২৬ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা আনিছ আহমেদের ছেলে ফয়সাল (২০) ও বালুখালী ক্যাম্পের হোছন আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০)।
সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে নাফনদীর জালিয়ারদ্বীপ ও টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার আলুগোলা নামক স্থানে নাফ নদী সংলগ্ন এলাকায় পৃথক দু’টি অভিযান পরিচালনা করে এ সব মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেন টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের নবাগত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ (বিজিবিএমএস)। এ সময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত দু’টি কাঠের নৌকাও জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, সোমবার রাতে নাফনদীর জালিয়ার দ্বীপ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান বাংলাদেশে ঢুকতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে, কৌশলগত অবস্থান নেয় ব্যাটালিয়ন সদর ও দমদমিয়া বিওপির দুটি বিশেষ টহল দল। রাত ৮টার দিকে মিয়ানমারের থেকে একটি কাঠের নৌকা ঢুকতে দেখে বিজিবির টহল দল নৌকাটিকে থামার সংকেত দেয়। এ সময় চারজন পাচারকারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরে নৌকাটির পাটাতনে লুকায়িত পাঁচটি প্লাস্টিকের বস্তা খুলে ১কেজি ৬৫গ্রাম আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৩৫ বোতল মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার পাওয়া যায়।
অপরদিকে মঙ্গলবার টেকনাফ সদর ইউপি’র নাজির পাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আলোগুলা নামক এলাকা দিয়ে মাদক একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জওয়ানেরা নাফ নদীর কেওড়া বাগানে অবস্থান করে। এ সময় সন্দেহভাজন ৫-৬ জন মাদক কারবারি একটি কাঠের নৌকায় মিয়ানমারের থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। নৌকাটি শূন্যরেখা অতিক্রম করে নাফ নদীর তীরে আসলে বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাৎ তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি’র চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারিরা নৌকা থেকে লাফিয়ে কেওড়া বাগানের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নদীর তীরে ৪টি বস্তা উদ্ধার ৪ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো জানান- অবৈধ মাদক বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষী ব্যক্তিদের সনাক্ত করণের কাজ চলছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়েরের করা হয়েছে।
বাবু/জেএম