পটুয়াখালী পৌরসভার পুরান বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে একটি তেলের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৫টি দোকান, একটি ৫ তলা ভবনসহ অগ্রণী ব্যাংকের একটি শাখার আংশিক আগুনে পুড়ে যায়। তবে, পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ে। এতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
জানা যায়, আগুন লাগার পর বাতাসের চাপে মুহূর্তেই পাশ্ববর্তী দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তার দুপাশের অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি। এ সময় কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরণ হয়। আগুনে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাডভোকেট তৌফিক মুন্না বলেন, প্রথমে একটি ঘরে আগুন লাগে। এরপরে বাতাসের বেগ এত বেশি ছিল যে অন্য দোকানগুলোতেও আগুন দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে তেমন পানি ছিল না। তাছাড়া এত বড় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কোনো ধরনের মেশিনপত্র তাদের নেই। স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমেছে।
২২ আনসার ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক মো. পাবেল বলেন, আগুনের ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সকল সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতা করা হয়। এছাড়া উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের পুরো টিম কাজ করে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আগুনের সূত্রপাতের ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করি। আমাদের পুলিশ লাইন, সদর পুলিশ ফাঁড়ি, সদর থানা থেকে সকল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেয় এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহযোগিতা করে। আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাদের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে আরও ৭টি ইউনিট অন্যান্য উপজেলা থেকে ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তীতে মোট ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।
বাবু/মম