রাজবাড়ীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির অভিযানে মঙ্গলবার (২ মে) রাতে ভুয়া ডিবি'র ৩ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা, রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলাদিপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল মোতালেব মল্লিক ওরফে খুদে মল্লিকের ছেলে মো. মুন্না মল্লিক ওরফে মুন্নাফ (২৬), বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মো. বিল্লাল মোল্লার ছেলে সুলতান আহম্মেদ শান্ত (২০), গোবিন্দপুর গ্রামের মো. জহেদ মন্ডলের ছেলে মোঃ তুষার মন্ডল (২০)।
ডিবি সূত্রে জানা যায় সেন্টু নন্দি (৪৭) একজন বৈধ মদের পারমিট হোল্ডার। গত (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার সময় ফরিদপুর ফরেন লিকার সপ থেকে ৭ ইউনিট হুইস্কি পারমিট ইস্যু করেন। পরে বাসে করে আলাদিপুর আসেন। সেখান থেকে বহরপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলাদিপুর কোমরপাড়া মেইন রোডে পৌছা মাত্র ২ টি মোটরসাইকেল যোগে ৪ জন তার অটোরিক্সার গতি রোধ করে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে পুলিশের আইডি কার্ড দেখায়।
তাকে জোরপূর্বক অটোরিক্সা থেকে চেক করার কথা বলে নামিয়ে তার কাছে থাকা ৭ বোতল হুইস্কি সহ পাসপোর্ট অফিসের পিছনে আলাদিপুর মধ্যপাড়া নিয়ে গিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে। তার কাছে বৈধ পারমিটের ৭ বোতল হূইস্কি এবং মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৩ হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এরপর তাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার বাড়ী থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ভূয়া ডিবির খপ্পরে পড়েছে বুঝতে পেরে রাজবাড়ী জেলা ডিবি পুলিশকে জানায় এবং অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে মুন্না মল্লিকের কাছ থেকে একটি পুলিশের ভূয়া আইডি কার্ড ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় । আসামী রানা পলাতক আছে। মুন্না রাজবাড়ী জেলার বিকাশের ডিএসও (ডিস্ট্রিবিউটার সেলস অফিসার) হিসাবে কর্মরত বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির পরিদর্শক মনিরুজ্জামান খান বলেন ভুক্তভোগী বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামের সোকেশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সন্টু নন্দী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
-বাবু/এ.এস