পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফার গালতিয়ের ও ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোসের নিষেধ সত্ত্বেও সপরিবারে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ী মেসির এই বিতর্কিত কাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে ফ্রান্সে। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, কিছু একটা ঘটবে। সেই সংশয়ই সত্যি হলো। ক্লাবের নিষেধ সত্ত্বেও দুই দিনের জন্য সৌদি আরবে আসায় দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হলেন মেসি। সৌদি আরব থেকে ফ্রান্সে ফেরার পর তাকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছে তার ক্লাব পিএসজি।
নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাতে বিশ্বকাপজয়ী মেসি ক্লাব পিএসজির হয়ে অনুশীলন করতে পারবেন না, কোনো ম্যাচও খেলতে পারবেন না। এমনকি এই দুই সপ্তাহে মেসি ক্লাব থেকে পাবেন না কোনো আর্থিক সুবিধাও। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মেসিকে আসলে কড়া একটা বার্তাই দিয়েছে পিএসজি। ফরাসি ক্লাবটি মেসিকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, ‘ক্লাবের চেয়ে কেউ বড় নয়।’ এখানেই শেষ নয়। মেসিকে শিগিগরই পিএসজির শৃঙ্খলা কমিটির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অননুমোদিত সৌদি আরব সফরের জন্য মেসিকে আরো কড়া শাস্তি দিতে পারে পিএসজি। ফ্রান্সের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘লেকিপ’ তো এটাও জানিয়েছে, বারণ সত্ত্বেও সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে পিএসজি! খবরটা সত্যি হলে, মেসির পিএসজি ক্যারিয়ারে যতি পরতে যাচ্ছে আগামী জুনেই। সেক্ষেত্রে তাকে খুঁজে নিতে হবে নতুন ঠিকানা।
বোঝাই যাচ্ছে মেসিকে কেন্দ্র করে পিএসজি শিবিরে এখন টালমাটাল অবস্থা। এই অবস্থার মধ্যেই সৌদি আরবে আবার ঘটেছে আরেক কাণ্ড। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই মেসির নতুন ছবি প্রকাশ করেছেন সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল খাত্তেব। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সৌদি আরবের বিনোদন কেন্দ্রে সময়টা উপভোগ করছেন মেসি। এতকিছু ঘটে গেলেও এ নিয়ে মেসির কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। গত রবিবার ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে লঁরিয়ের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল পিএসজির। নিজেদের ঘরের মাঠের সেই ম্যাচে ১-৩ গোলে হেরে যায় মেসি-এমবাপ্পেদের দল। পুরো ম্যাচেই মেসি ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। লজ্জাজনক ঐ হারে এমনিতেই হতাশ ছিল পিএসজি। হতাশাজনক ঐ হারের পরই মেসি আবার ক্লাব কোচ গালতিয়েরের কাছে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমতি চান। কিন্তু সোমবার দলের অনুশীলন থাকায় কোচ গালতিয়ের মেসিকে সৌদিতে যাওয়ার অনুমতি দেননি। পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোসও মেসিকে সৌদিতে যেতে বারণ করেন। এরপরও মেসি কাউকে তোয়াক্কা না করে ঠিকই সপরিবারে সৌদি আরবে আসেন।
মেসি সৌদি আরবের পর্যটন শুভেচ্ছা দূত। এই দায়িত্ব পালনেই তিনি সৌদি আরবে আসেন বলে প্রচার করা হয়। সৌদির পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল খাত্তেব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুভেচ্ছা দূত মেসিকে স্বাগতও জানান। তবে অন্য অনেকে মেসির এভাবে সৌদি আরবে আসার পেছনে অন্য কারণও খুঁজছেন! সেই কারণটা হলো, সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জন!
বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |