মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩, ২:৪৫ PM

গত দু’দিনের বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করছে ইরি ধানের মাঠ। পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন। যশোরের খাদ্য ভাণ্ডার খ্যাত শার্শা উপজেলায় কৃষকেরা এখন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। নিজেদের এলকায় কামলা না থাকায় প্রতি বছর সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ,  শ্যামনগর,  দেবহাটা এলাকা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ছুটে আসে শার্শায়।


পাকা ইরিধান মাঠ থেকে ঘরে উঠানোর কাজ শেষ করে তবেই ঘরে ফেরেন এই শ্রমিকরা। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। ধানের ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। বাজারে ধানের দামও ভাল।


কিন্তু আগাম বৃষ্টিতে কৃষক এবং শ্রমিক উভয়েরই কপাল মন্দ। গত দ’দিনের প্রবল বর্ষণে ক্ষেতের কাটা ধানগাছ পানিতে ডুবে গেছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে কৃষকরা এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


উপজেলার আকাশজুড়ে কালো মেঘ। তবে রোদের দেখা মিললে ভেজা ধান গাছ জমির আইলে তুলে শুকিয়ে ধান ঘরে তুলতে হবে। নয়তো মাঠে বিচুলি বা খড় রেখেই ধানের শীষ কেটে আনতে হবে বাড়িতে।


ইরি ধান এ অঞ্চলের চাষীদের বছরের খাদ্যের জোগান এবং নগদ টাকার উৎস। ধান বিক্রি করেই মেটানো হয় সার, তেলসহ দোকানের সারা বছরের বাকি খাতার হিসাব। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা খরচ চলে ইরি ধান বিক্রির টাকায়। কিন্তু মাঠে ধান ডুবে থাকার এমন দৃশ্যে হতাশ চাষীরা।


শার্শার ডিহি ইউনিয়নের শাড়াতলা গ্রামের ধানচাষী আলিম বলেন, প্রতি বিঘা জমির ধান কাটা, ঝাড়া বাবদ কামলাদের (শ্রমিক) মজুরি দিতে হবে ৬ হাজার টাকা। এক বিঘা ধান ফলাতে শুরু থেকে খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ২২ খেকে ২৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। সব মিলে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ঘরে আসে ৮/১০ হাজর টাকা। ধান ভেজা থাকলে ধানের দাম পাওয়া যায় না। ধানের খড় ভেজা থাকলে মাঠেই পঁচে যায়। সারা বছর গরুর খাবারের সংকট দেখা দেয়। তবে সামনের ২/৩ দিন বৃষ্টি আর না হলে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলা যাবে।


বাবু/জেএম 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত