শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫ ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
আমেরিকার টার্গেট কি চীন ?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: রবিবার, ৭ মে, ২০২৩, ৬:৩৮ PM
ক্যাম্পাস : সাগরে আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া । তিনটি দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে চায়। ছবি : গেটি ইমেজ

ক্যাম্পাস : সাগরে আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া । তিনটি দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে চায়। ছবি : গেটি ইমেজ

আমেরিকা যে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি বা আইপিএস ঘোষণা করেছে, সেখানে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ফিলিপাইন, বাংলাদেশসহ এখানকার দেশগুলোকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক, নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিকের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই কৌশলে চীনকে অন্তর্ভূক্ত হয়নি। বরং চীনকে ঐ অঞ্চলে প্রতিবেশীদের প্রতি আগ্রাসী এবং ক্ষতিকর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, চীন তার সামরিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তির সমন্বয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে চীন প্রচলিত বিশ্বব্যবস্থা এবং নিয়ম-নীতিরও লংঘন করছে।

যদিও চীন পাল্টা অভিযোগ করছে, আইপিএসে’র মাধ্যমে মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমা জোট আসলে সামরিকভাবে চীনকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। আর চীন আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ চলাচলে বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু আইপিএসে’র মাধ্যমে আমেরিকা’র টার্গেট কি আসলেই চীন? 

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি’র অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলছেন, আমেরিকা তার আইপিএস উদ্যোগে চীনকে রাখেনি। কারণ এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা চীনের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র আইপিএসে বলছে ‘রুল বেইজড’ বিশ্ব ব্যবস্থার কথা, যেটার নেতৃত্বে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

“চীন বলছে, এই ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে। কারণ এটা তৈরি হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের যে অপরিমেয় ক্ষমতা ছিলো তারা সেভাবেই বৈশ্বিক রুল ঠিক করেছে। চীন সেই রুল মানতে চায় না, এটা বদলাতে চায়। এখানেই মূল দ্বন্দ্ব,” বলেন অধ্যাপক রীয়াজ।

ইন্দো-প্যাসিফিকে চীন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আমেরিকা সেখানে পিছিয়ে পড়বে। আর এর প্রভাব পড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এবং আধিপত্যের উপর। তাই আমেরিকা সেখানে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কিন্তু এখানে জাপান-ভারতের মতো দেশগুলোর স্বার্থ কোথায়?
“চীনের সঙ্গে জাপানের বিরোধ আছে, দক্ষিণ কোরিয়ারও বিরোধ আছে। ভারতের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে সংঘাত আছে।

ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, চীনের যে উত্থান তাতে আমেরিকা, জাপান সবাই চিন্তা করছে যে, চীনের সামরিক বাহিনী এখন ভারত মহাসগরেও নজরদারি করতে সক্ষম। “ফেলে অতীতে যেটা হয়নি সেটাই হচ্ছে। আমেরিকা এমনকি ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করতে অস্ত্র দিচ্ছে,” বলেন রুকসানা কিবরিয়া।

তবে ভারতকে অস্ত্র সহায়তার পাশাপাশি আরেকটি কাজ করছে আমেরিকা। সেটা হচ্ছে, কোয়াড নামে সামরিক জোটকে সক্রিয় রাখা। এই জোটে আছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া।

ইন্দো-প্যাসিফিকে আমেরিকার যেমন আগ্রহ আছে, তেমনি ভারত-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়াসহ আসিয়ানভুক্ত কোন কোন দেশেরও আছে নিজস্ব স্বার্থ। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই এখানকার দেশগুলোকে নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে অভিন্ন নিরাপত্তা কৌশল তৈরি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষপর্যন্ত এই এলাকায় চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব কোনদিকে গড়ায় তার উপরই নির্ভর করছে অনেককিছু। সূত্র : বিবিসি

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  আমেরিকা   টার্গেট   চীন   







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত