ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তিনটি হলের শিক্ষার্থীদের নেই স্মার্ট পরিচয়পত্র। প্লাস্টিক ও কাগুজের পরিচয়পত্র দিয়েই হলগুলোর নিচ্ছে ১০০ টাকা। বাকি হলগুলোতে একই মূল্যে মিলছে স্মার্ট পরিচয়পত্র। এই নিয়ে হল তিনটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আটটি আবাসিক হল রয়েছে। হল গুলোর মধ্যে সাদ্দাম হোসেন হল, শেখ রাসেল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল,দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে দেওয়া হয় স্মার্ট পরিচয়পত্র।
শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা নিজ হল থেকে নিম্নমানের কাগজে হাতে লিখা পরিচয়পত্র পান। তুলনামূলক মোটা কাগজে নিজেদের নাম শিক্ষার্থীরা নিজেরাই লিখে নেয়। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট স্বাক্ষর করে দেন। এসব নিম্নমানের কাগজের মূল্যে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ টাকা। অথচ হল প্রশাসন পরিচয়পত্র বাবদ নিচ্ছে ১০০ টাকা। অন্যদিকে লালন শাহ হলে দেওয়া হয় প্লাস্টিকের পরিচয়পত্র।
তিনটি হলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ শতাধিক। এসব শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হলে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে প্রতি হলে পরিচয়পত্র বাবদ ৪০ হাজার টাকা জমা হয়। এই হিসেবে তিন হলের ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেজবাহ রহমান বলেন, ডিজিটাল যুগে এসেও শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছেন হাতে লিখা পরিচয়পত্র। যাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের নেই অভিন্ন ডিজিটাল পরিচয়পত্র। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে উন্নতমানের পরিচয়পত্র।
এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, আমাদের হলের বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। ওইসব জায়গায় হাত দিয়েও আমি বাধাগ্রস্ত হয়েছি। ওইসব কাজ শেষ করে এ বিষয়ে হাত দিবো। পরিচয়পত্র ডিজিটাল করা আমার প্রায়োরিটি লিস্টে আছে।
সার্বিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই বিষয়টা সম্পর্কে আমার জানা ছিলো না। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।
বাবু/জেএম