পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর নেতারা। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই।
বুধবার এই ধর্মঘট চলাকালে ‘উদীয়মান ফ্যাসিবাদের’ বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা, ‘সফল অথবা পুরোপুরি ব্যর্থ’ হওয়ার একটি সন্ধিক্ষণ এসে গেছে বলেও সমর্থকদের জানিয়েছেন তারা।
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতারা ঘোষণা করেছেন, গ্রেপ্তার হওয়ার দুই দিন আগে ইমরান দেশব্যাপী জনসভা করার যে সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন তা অপরিবর্তিত থাকবে।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে, ইমরানের গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মাহমুদ কুরেইশির আহ্বানে পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচী ঘোষণার উদ্দেশ্যে দলটির ‘জরুরি কমিটির’ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের কর্মীরা সেনাবাহিনী সদরদপ্তরের এক নম্বর গেটে পৌঁছায়। এসময় একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গেটের বাইরে পিটিআই কর্মীরা ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা জোর করে গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক খালিদ চৌধুরী বলেন, মুরি রোডে একটি সিকিউরিটি পোস্টে আগুন ধরিয়ে দেয়।

অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী লাহোর ক্যান্টনমেন্টে কর্পস কমান্ডার হাউজের বাইরে জড়ো হয়। বিবিসির ফারকান এলাহি বলেন, লাহোর ক্যান্টনমেন্ট কয়েকটি পুলিশ ভ্যানে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
ইসলামাবাদের রাস্তায় শতশত বিক্ষোভকারী রাজধানী থেকে বের হওয়া ও ঢোকার প্রধান মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছিল। পিটিআই সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জল কামান ছুঁড়েছে।
মানুষ রাস্তার সাইন উপড়ে ফেলেছে এবং রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচলের ব্রিজ ভেঙে ফেলেছে, বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেছে এবং পাথর ছুঁড়েছে। সে সময় ঘণ্টাখানেকের মত ওই এলাকায় থাকা বিবিসির সংবাদদাতা সেখানে পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তাদের দেখেননি।
-বাবু/এ.এস